রানি এলিজাবেথ যে কারণে মেগানের ওপর চটেছেন

গনগনে তাওয়ার ওপরে পড়েছেন মেগান মার্কেল! ব্রিটিশ রাজপরিবারের নবীনতম এই বধূর ওপর শনি ভর করেছে। কারণ, স্বয়ং রানি এলিজাবেথ ও রাজপরিবারের সদস্যরাই মেগানের ওপর খাপ্পা। অভিযোগ? মেগান নাকি রানির কথা অমান্য করেছেন!

হলিউড তারকা মেগান আগাগোড়াই ওজন কমানো বিষয় নিবেদিতপ্রাণ। কেবল নিজেই নন, গোটা নারীসমাজের ওজন কমানো নিয়ে কাজ করছেন। বাজারে এনেছেন ‘কেটো পিওর’ নামের ওজন কমানোর এক টোটকা। তাই রানির কাছে আবেদন করেছিলেন, রাজদায়িত্ব কিছুটা কমিয়ে দিতে। যাতে তিনি নিজের উদ্যোগে আরও খানিকটা সময় দিতে পারেন। রানি তাতে আপত্তি করেছেন। কিন্তু মেগান নিজের স্বপ্নের বেলায় অনড়। ফলে রাজপরিবারে আগুনই লেগে গেছে!

এসব খবর পেটে চেপে রাখতে পারেননি রাজপরিবারেরই এক সদস্য। এটাও শোনা গেছে যে মেগান এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে রাজপরিবারের বাইরের কারও কারও কাছে ছুটে গেছেন পর্যন্ত। এ খবর রটে যাওয়ার পর ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে নাকি মেগানকে বেরিয়ে যেতেও বলা হয়েছে। তেমনই এক সংকটময় মুহূর্তে ‘এন্টারটেইনমেন্ট টুডে’কে প্রচারণামুলক এক সাক্ষাৎকার দেন মেগান মার্কেল।

শুরুতেই আপনার ওজন কমানো–সংক্রান্ত ব্যবসার কথা বলুন।

মেগান: হলিউডে তারুণ্য ধরে রাখা এবং ফিট থাকা নিয়ে চাপ আছে। এর ফলে সারাটা জীবন আমি আমার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাপারে যত্নবান। গত ১০ বছর অরগানিক উপাদান এবং ওজন কমানোর উপায় খুঁজতে পৃথিবী চষে বেড়িয়েছি আমি। আমার এই ওজন কমানোর উদ্যোগটি নারীদের দ্বারা পরিচালিত। সবচেয়ে উন্নত মানের উপাদানগুলো সবার জন্যই সুলভ।

আপনার এই ওজন কমানোর উদ্যোগের নাম কী?

মেগান: এটার নাম দিয়েছি কেটো পিওর। আবারও জানিয়ে রাখছি, এটির মালিকানা এবং পরিচালনায় আছেন নারীরাই। এ উদ্যোগ সত্যিকার অর্থে সফল করতে আমরা পৃথিবীর সফল ত্বকবিশেষজ্ঞ এবং বিজ্ঞানীদের সঙ্গে রেখেছি। এ উদ্যোগে বেশি সাড়া পেয়েছি হলিউড অভিনেত্রীদের কাছ থেকে। তবে এখন সময় এসেছে সবার কাছে সাশ্রয়ী করার।

অনেক গুঞ্জন—রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাকে জোরাজুরি করা হয়েছে। আপনি কি বিষয়টি একটু খোলাসা করবেন?

মেগান: এ উদ্যোগে আমার সময় দেওয়ার কারণে রাজপরিবার নাখোশ। ভবিষ্যতে আমি কোন দিকে মনোযোগী হব, এ ব্যাপারে তারা আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল। ভীষণ মন খারাপ হয়েছিল আমার। তাই পরে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি আমার নতুন উদ্যোগের যে স্বপ্ন দেখেছি, সেটাতেই অটল থাকব।

আচ্ছা, বুঝতে পেরেছি। তাহলে কি রাজপরিবার ‘কেটো পিওর’–এর প্রচার চালাতে দিচ্ছেন না?

মেগান: ‘কেটো পিওর’ যে আমার স্বপ্নের প্রকল্প, এ বিষয়ে শুরু থেকেই আমরা একে–অপরের কাছে পরিষ্কার ছিলাম। আমি চেয়েছিলাম নারীকেন্দ্রিক একটি ব্যবসা চালাতে এবং সেটির সৃজনশীল নিয়ন্ত্রণ নিজের কাছে রাখতে। কখনো বুঝতে পারিনি যে আমার লক্ষ্যের ব্যাপারে যা করব, তা তাঁদের মনের মতো হতে হবে। তাঁরা জানেন, ওজন ঝরানোর ব্যাপারে আমি কতটা নিবেদিত। আর উদ্যোগটি সফল করতে আমি যে কীভাবে মনপ্রাণ ঢেলে দিয়েছি, সেটাও তাঁরা জানেন।

আপনি দারুণ একজন নারী ও প্রেরণাদায়ী! পুরো বিশ্বের নারীরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দাঁড় করানো আপনার এই ব্যবসার প্রশংসা করছেন। সত্যিকার অর্থে নিরাপদ, কার্যকর এবং সাশ্রয়ী এমন একটি পণ্য তাঁরা গ্রহণও করছেন।

মেগান: ধন্যবাদ। কেবল অনলাইনে সরাসরি ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার পর থেকেই পণ্যটির দাম আমরা সবার হাতের নাগালে রাখতে পেরেছি। জনপ্রিয়তা ও চাহিদার কারণে পণ্যটি বিক্রি করতে পেরেছি ৭২টির বেশি দেশে। এটা জানাতে পেরে আমি আনন্দিত যে এই ওয়েবসাইটের (এন্টারটেইনমেন্ট টুডে) পাঠকেরা ‘কেটো পিওর’ কেনার বেলায় বিশেষ একটি অফার পাবেন (সাক্ষাৎকারের নিচে একটি অফার দেওয়া হয়েছিল)।

অসাধারণ! আপনি জানেন, আমরা অর্থাৎ এন্টারটেইনমেন্ট টুডের নারী কর্মীরা কয়েক সপ্তাহ ধরে ‘কেটো পিওর’ ব্যবহার করতে শুরু করেছি এবং প্রত্যেকেই একমত—‘কেটো পিওর’ নিয়ে যে হইচই হচ্ছে তা অমূলক নয়। আমরা সত্যি সত্যি ‘কেটো পিওর’–এর ভক্ত হয়ে গেছি। এটা দেহের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ‘বোতলবন্দী জাদু’র মতো।

মেগান: এমনটা প্রায়ই শুনি আমি, দারুণ লাগে ব্যাপারটা! নিজের শরীরটাই আপনার আত্মবিশ্বাস। হলিউডে আমার সব বন্ধু, যেমন: সালমা হায়েক ও রিজ উইদারস্পুন ‘কেটো পিওর’ ভালোবেসে ফেলেছেন। তাঁরা এর সত্যিকারের শুভেচ্ছাদূত।

গ্রন্থনা: মাহফুজ রহমান

সূত্র: এন্টারটেইনমেন্ট টুডে 