লাল সবুজে তিন নকশা
লাল-সবুজ শুধুই দুটো রং নয় আমাদের কাছে; লাল–সবুজ আমাদের পতাকার রং, বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনার প্রতীক। আজ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। ডিজাইনার স্বাধীনতাকে দেখেন তাঁর চোখে। তিন তরুণ ডিজাইনার এবারের নকশার জন্য তিনটি পোশাক তৈরি করেছেন।
কখনো লাল-সবুজ, কখনোবা শুধু লালে ফুটিয়ে তুলেছেন স্বাধীনতার চেতনা। পোশাকের নকশা নিয়ে নিজেদের ভাবনার কথাও বলেছেন তাঁরা।
ডিজাইনার রিফাত রহমান
যেহেতু পোশাকটি স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তৈরি করা, স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় পতাকার রং মাথায় চলে এসেছে। তাই লাল-সবুজ রং দুটোই বেছে নিয়েছি পোশাকের জন্য। আমার মনে হয়, আমরা সব সময়ই স্বাধীনতা দিবসে শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ পরি। এবার আমি ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করেছি। বাংলাদেশি রং ও কাপড় নিয়ে পোশাকটি বানিয়েছি। পোশাকের কাটে নিয়ে এসেছি ভিন্নতা। হঠাৎ দেখে সালোয়ার-কামিজ মনে হলেও এটি আসলে জাম্পস্যুটের ওপর ওভারকোট।
ডিজাইনার রিফাত রেজা
পোশাকে বেছে নিয়েছি পতাকার মাঝের লাল রংকে। অলংকরণের ক্ষেত্রে শাড়ির আঁচলে মোটিফ হিসেবে জাতীয় স্মৃতিসৌধের আকৃতি তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। মসলিন শাড়িতে ভিন্নতা আনার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে সিল্কও। অফ শোল্ডার ব্লাউজ বেছে নেওয়া হয়েছে। শাড়ির আঁচল সামনে এনে পরানো। এর ওপর মসলিনের কেপ। সবকিছুকে একসঙ্গে বেঁধে রেখেছে বেল্ট।
ডিজাইনার ফারাহ্ দিবা
আমার পোশাকে সবুজের ভিন্ন কিছু শেড ব্যবহার করেছি। সবুজকে প্রাধান্য দিয়েছি মূলত সবুজে সেরা বাংলাদেশ এবং পতাকার সবুজকে মনে করে। আমি আমার ডিজাইনে প্যাটার্ন ও নকশার প্রয়োগে একটু বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। স্বাধীনতা দিবসের পোশাক হিসেবে আমাদের গতানুগতিক ধারা বা ঐতিহ্যগত ধারণাকে মাথায় রেখে পোশাকটিতে প্যাটার্ন করেছি। এটি চলতি ধারার, সময়োপযোগী এবং একই সঙ্গে সহজ–সরল। পোশাকে তাঁতের সুতি কাপড়ে বাটিক প্রিন্ট করেছি এবং জয়শ্রী সিল্কে রং করেছি আমার পছন্দমতো সবুজ দিয়ে। কামিজ ও সালোয়ারে লাল দিয়ে অ্যাপ্লিক করেছি কিছুটা বৈপরীত্য আনার জন্য।