শিশুর সঠিক যত্ন নেওয়ার পরও রাতের বেলায় একনাগাড়ে কাঁদতে থাকে। আবহাওয়া ঠান্ডা না হলেও ঘন ঘন ঠান্ডা লেগে যায়। আক্রান্ত হতে থাকে সংক্রমণে। শিশুকে পরানো ডায়াপারের মান যদি ভালো না হয়, হতে পারে অনেক কিছুই। শিশুকে ডায়াপার পরিয়ে রাখলে থাকা যায় নিশ্চিন্তে। কিন্তু এটি ব্যবহারের সময় নিয়ম ও পদ্ধতি না জানার কারণে শিশুর অস্বস্তি হতে পারে। দেখা দিতে পারে শিশুর ত্বকে নানা সমস্যা। এমনকি ভেজা ডায়াপারের কারণে ঠান্ডা লেগে শিশু অসুস্থও হয়ে যেতে পারে। ডায়াপার কেনার সময়ও থাকতে হবে সচেতন। জানতে হবে ডায়াপারের মান ও শোষণক্ষমতা। নিশ্চিত করতে হবে আরামের বিষয়টি।
ডায়াপার বদলানোর সময় করণীয়
ডায়াপার বদলানোর সময় শিশুর নিম্নদেশ ভেজা কাপড়, বেবি ওয়াইপস দিয়ে খুব যত্ন করে পরিষ্কার করতে হবে। সামনে থেকে পেছন দিকে মোছাতে হয়। অন্যথায় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে, যা থেকে ইউরিনারি ইনফেকশন হয়।
হাঁটু এবং নিতম্বের ভাঁজগুলোও পরিষ্কার করে দিতে হবে। মোছানো শেষে শুকনো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে দিন। এরপর পুনরায় ডায়াপার পরানোর আগে ডায়াপার অয়েন্টমেন্ট অথবা ময়েশ্চারাইজিং বেবি লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
মনে রাখতে হবে
* ময়লা ডায়াপার থেকে শুধু দুর্গন্ধই নয়, বরং অনেক ধরনের জীবাণুরও সংক্রমণ ঘটতে পারে।
* অনেক মা-বাবা তাঁদের শিশুকে সারা রাত ডায়াপার পরিয়ে রাখেন। এটি শিশুদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সারা রাত ওই ভেজা ডায়াপারে শুয়ে থাকলে শিশুর ত্বকে ভেজা ভাব থেকে র্যাশ হয়। এ কারণে ঠান্ডা লেগে যায়। এ ছাড়াও মল–মূত্র দীর্ঘক্ষণ শরীরে লেগে থাকলে তা থেকে সংক্রমণ ছড়ায়। রাতে শিশুকে প্রয়োজনে ডায়াপার বদলে দিন।
* শক্ত ডায়াপার পরালে অনেক সময় শিশুর পায়ে ও কোমরের আশপাশে দাগ হয়ে যেতে পারে। সেখানে চুলকাতে পারে। সে ক্ষেত্রে শিশু অস্বস্তি বোধ করবে বা বড় শিশু হলে চুলকে ক্ষত তৈরি করতে পারে।
* শিশুর ডায়াপার পরানোর জায়গায় পায়ে ও কোমরে যদি ফুসকুড়ি দেখতে পান, তাহলে কিছুদিন ডায়াপার ব্যবহার করা বন্ধ রাখুন।
* জীবাণু যাতে ছড়াতে না পারে, সে জন্য শিশুর ডায়াপার বদলানোর পর ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।
* র্যাশ হলে বা প্রস্রাবে ইনফেকশনের মতো মনে হলে ডায়াপার ব্যবহার কয়েক দিন বন্ধ রাখতে হবে।
* ডায়াপার বেশি আঁটসাঁট করে পরানো যাবে না। অন্তত ৬ ঘণ্টা পরপর পরিবর্তন করে নতুন ডায়াপার পরিয়ে দিতে হবে।
* প্রতিবার পায়খানার পর সঙ্গে সঙ্গেই পরিবর্তন করতে হবে।