সরু একটা চেইন কিংবা নতুন নকশার হার। বড্ড শখ করে কেনা গয়নাটিতে দারুণ মানিয়েছে। কিন্তু আয়নায় ভালো করে তাকাতেই দেখলেন, সুন্দর গয়না জড়িয়ে আছে যে গলায় সেই জায়গাটা তামাটে। মুখ বা হাতের ত্বকের উজ্জ্বলতার কাছে গলাটা যেন একেবারে বেমানান। অনেকের ক্ষেত্রেই এমনটা ঘটে। মুখ বা হাত–পায়ের যত্ন নিলেও গলার কথা একদম ভুলে যান। যেখানে অযত্নের ছাপ চোখে পড়ে গয়না বা কাঁধখোলা পোশাক পরার পর।
অথচ শরীরের এই অংশের যত্ন বেশি দরকার। অযত্নে থাকার ফলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অনেকের গলায় ভাঁজ পড়ে যায়। এদিকেও নজর রাখা জরুরি।
রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বলেন, যাঁরা ত্বকের এই অংশটার প্রতি তেমন মনোযোগ দেন না, তাঁদের জানা জরুরি বয়সের ছাপটা কিন্তু এ অংশে বেশি ফুটে ওঠে। অনেকের গলায় ব্রণ এবং কালচে দাগ হতেও দেখা যায়। তাই সার্বিক সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য গলার ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
গলার ত্বকের যত্নে রোজ সময় বের করা দুষ্কর। সময়ের টানাটানির মধ্যে এই কাজের জন্য বাড়তি সময় আশা করাটাও কারও কারও কাছে বিলাসিতা বলে বিবেচ্য হয়ে দাঁড়ায়। তবে কম সময়েও অনায়াসেই সামান্য একটু যত্ন নিতে পারেন, যা বেশ উপকারী। আফরোজা পারভীনের কাছে জেনে নিন গলার ত্বকের যত্ন নেওয়ার সহজ কিছু নিয়ম—
গোসলের আগে রোজ
গোসলের আগে টকদই আর হলুদের প্যাক তৈরি করে নিন। গলা ও ঘাড়ের ত্বকে সুন্দরভাবে তা ম্যাসাজ করুন। এরপর গোসল করে নিন। নিয়মিত এই প্যাক ব্যবহারে ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আসে। ত্বকের কালচে ভাব, কালো ছোপ ও অন্য দাগ কমে আসবে। ত্বকে পিম্পল বা ব্রণ থাকলে সেগুলোও কমে যাবে দ্রুত।
স্ক্রাবিং যেভাবে
গলার ত্বকে ব্রণ বেশি হলে প্রতি ১০ দিন ১ বার ত্বক স্ক্রাবিং করতে পারেন। চালের গুঁড়া বা সুজির সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করুন। এই মিশ্রণ ম্যাসাজ করলে ত্বকের মৃতকোষ উঠে আসে, ত্বক মসৃণ হয়ে ওঠে।
ময়েশ্চারাইজার অবশ্যই
গলার ত্বকে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন প্রতিদিন। বিশেষ করে গলার সামনের অংশ শুষ্ক হতে দেবেন না। ঘাড় উঁচু করে ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে এ অংশে। গলার ত্বক নিয়মিত ময়েশ্চারাইজ করা হলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে দেরিতে। গোসলের পর ময়েশ্চারাইজার লাগাতে একদমই ভুল করা যাবে না। রাতে ঘুমের আগে যখন হাত-মুখ ধোয়া হয়, তখন একটা তোয়ালে ভিজিয়ে গলার ত্বক মুছে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
নিয়মিত এভাবে গলার যত্ন নিলে মুখ বা হাতের উজ্জলতার সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকবে। তাই অফ শোল্ডার বা কাঁধ খোলা পোশাক পরলেও দুশ্চিন্তা আসবে না। বরং আপনি থাকবেন ফুরফুরে।