আগস্টে ১১৯ উদ্বাস্তু কলোনির মানুষ জমির দলিল পাবে: মমতা
২০২১ সালের মার্চ-এপ্রিলে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯৪ আসনের নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বসে নেই জাতীয় কংগ্রেস এবং বামদলও। তারাও বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নেমেছেন। রাজ্য সরকার ১১৯টি উদ্বাস্তু কলোনির বাসিন্দাদের জমির দলিল দেওয়ার কাজে সক্রিয় হয়েছে। রাজ্য সরকার বলেছে, আগস্টের মধ্যে এই জমি দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। বলা হয়েছে এই ১১৯টি উদ্বাস্তু কলোনি ৫০ বছরের পুরোনো। এর আগে রাজ্য সরকার ৯৪টি কলোনির বাসিন্দাদের নিঃশর্ত দলিল দিয়েছিল।
বিজেপি চাইছে এই নির্বাচনের মাধ্যমে রাজ্যের শাসন ক্ষমতা থেকে তৃণমূলকে সরাতে। তৃণমূল চাইছে রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় আরও ৫ বছর টিকে থাকতে।
প্রকাশ্য জনসভা সমাবেশ বন্ধ থাকলেও ভার্চুয়াল প্রচার চলছে। সোস্যাল মিডিয়ায় নানা প্রচার চলছে। বাড়িতে বাড়িতে জনসংযোগ হচ্ছে।
রাজ্য সরকারের নির্দেশের পর উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দপ্তর টিম গঠন করে কলোনির জমির মাপ শুরু করে জমি চিহ্নিত করার কাজে নেমে পড়েছে। দপ্তর বলেছে, এই কার্যক্রম সম্পন্ন হলে রাজ্যের মোট ২৩৭টি উদ্বাস্তু কলোনির মধ্যে ২১৩টি উদ্বাস্তু কলোনির বাসিন্দারা পেয়ে যাবেন জমির স্বত্ব। সেই সঙ্গে জমির দলিল। এই লক্ষ্য নিয়ে এবার প্রচারে নামছে রাজ্য সরকার এবং শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
বিজেপি হাতিয়ার করেছে ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) এবং জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধনকে (এনপিআর )। বিজেপি আরও ইস্যু করেছে আম্পানের ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণও অর্থ আত্মসাৎ এবং করোনার চিকিৎসা গাফিলতিকেও। এই ইস্যুতে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস পাল্টাপাল্টি নির্বাচনী প্রচারে মাঠে নেমে পড়েছে।