ইন্দোনেশিয়ার ভবিষ্যত রাজধানীতে ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা
বিজ্ঞানীরা ইন্দোনেশিয়ার নতুন রাজধানীর জন্য বেছে নেওয়া অঞ্চলে ভয়াবহ সুনামির একটি সম্ভাব্য ঝুঁকি শনাক্ত করেছেন। বোর্নিও ও সুলাওসি দ্বীপপুঞ্জের মধ্যবর্তী মাকাসার প্রণালিতে একাধিক প্রাচীন ভূগর্ভস্থ ভূমিধসের ম্যাপ তৈরি করেছেন গবেষকেরা। তাঁরা দাবি করছেন, আগের মতো কোনো ভূমিধস আবার হয়, তবে নতুন রাজধানীর জন্য প্রস্তাবিত অঞ্চল বালিকপাপন বে ডুবে যাওয়ার মতো সুনামি সৃষ্টি হতে পারে। আজ বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
যুক্তরাজ্যের হেরিওট-ওয়াট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. ইউসডেন নিকোলসন বলেন, 'পরিস্থিতিটি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে। এমনকি যদি আমরা কেবলমাত্র 'কম ফ্রিকোয়েন্সি, উচ্চ প্রভাবের' ঘটনা নিয়ে কথা বলি, তারপরও ইন্দোনেশিয়ান সরকারকে ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায রাখতে হবে ।'
ব্রিটিশি-ইন্দোনেশিয়ার একটি গবেষক দল মকাসার সমুদ্রপৃষ্ঠে পলল ও তাদের কাঠামো বুঝতে ভূমিকম্পের তথ্য ব্যবহার করেছেন।জরিপে ১৯টি নির্দিষ্ট এলাকার কাদা, বালি ও পলি নিয়ে গবেষণা করা হয়।তাতে দেখা গেছে ভূমিধ্বসে শত শত কিউবিক কিলোমিটার উপাদান স্থানান্তরিত হয়েছে যা সমুদ্র পৃষ্ঠে বিশাল ঢেউ সৃষ্টি করতে পারে।
এবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. র্যাচেল ব্র্যাকেনরিজ বলেন, এসব ভূমিধ্বসকে বলা হয় মাস ট্রান্সপোর্ট ডিপোজিটস (এমটিডি)। এগুলো ভূমিকম্প তথ্য থেকে সহজে বের করা যায়। এ রকম ১৯টি ঘটনা রেকর্ড করেছেন তাঁরা।
ভূমিধ্বসের আশঙ্কার কথা বললেও কবে নাগাদ তা ঘটতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা দিতে পারেননি গবেষকেরা।
এর আগে ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়াঢ ভূমিধ্বসের কারণে দুটি সুনামির ঘটনা ঘটেছে। তাই ২০০৪ সালের সুমাত্রার সুনামির মতো না হলেও ভূমিধ্বসে সৃষ্ট সুনামি নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো গত বছর ঘোষণা দেন যে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে সরিয়ে বোর্নিওতে স্থানান্তর করা হবে।