সোলাইমানি গাড়িতে হামলায় ব্যবহৃত ড্রোনের দাম ৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার
ইরানের জেনারেল কাশেম সোলাইমানির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মার্কিন ড্রোন শনাক্ত হয়েছে আগেই। এবার সেই ড্রোনের দাম জানা গেছে। এর আগে ডেইলি মেইলের খবর থেকে জানা যায়, সোলাইমানির গাড়িতে হামলা চালানো হয় অত্যাধুনিক মার্কিন ড্রোন ‘এম কিউ-নাইন রিপার’ থেকে।
মঙ্গলবার ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই রিপারটির দাম ৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার। দূরপাল্লার ড্রোনটির পাখার প্রসারতার দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ মিটার। কাশেম সোলাইমানিকে বহন করা গাড়িবহর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার আগে প্রায় ১০ মিনিট ড্রোনটি দৃশ্যমান ছিল।
গত শুক্রবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় সোলাইমানিসহ ১০ জন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন ইরানের ও পাঁচজন ইরাকের। ইরাকের পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেন আবু মাহদি আল-মুহানদিস, যিনি ইরানের সমর্থনপুষ্ট খাতিব হেজবুল্লাহ গ্রুপের কমান্ডার এবং ইরাকি মিলিশিয়াদের একটি জোট পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের নেতা ছিলেন।
ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, ওই দিন ভোরে বিমানবন্দর লক্ষ্য করে অন্তত চারটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। বিমানবন্দরে দুটি গাড়ি লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হয়। মার্কিন হেলিকপ্টার থেকে রকেটগুলো ছোড়া হয়। দুটি গাড়ির একটিতে ছিলেন কাশেম সোলাইমানি। আকাশ থেকে মার্কিন ড্রোনের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে ঘটে প্রবল বিস্ফোরণ। আর মুহূর্তেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় কাশেম সোলাইমানির। সোলাইমানির গাড়িতে ২৩০ কিলোমিটার দূর থেকে হামলা চালানো হয়েছে।
মেইলের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন ড্রোন ‘এম কিউ-নাইন রিপার’-এ একবার জ্বালানি ভরলে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত হামলা চলতে পারে। চালকবিহীন ‘এম কিউ-নাইন রিপার’ ড্রোনটির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৪৮২ কিলোমিটার পর্যন্ত। ড্রোনটিতে আছে অত্যাধুনিক ইনফ্রারেড ক্যামেরা। এই ক্যামেরায় রাতের বেলায়ও যুদ্ধক্ষেত্রের ছবি পরিষ্কার পাঠিয়ে দেওয়া যায় দূরের কোনো সামরিক ঘাঁটিতে বসে থাকা চালকের মনিটরে।