চিলির নিখোঁজ সামরিক উড়োজাহাজের কেউ বেঁচে নেই
অ্যান্টার্কটিকায় যাওয়ার পথে চিলির নিখোঁজ সামরিক উড়োজাহাজের কেউ বেঁচে নেই। উদ্ধারকর্মীরা যাত্রীদের কিছু দেহাবশেষ খুঁজে পেয়েছে। দেশটির বিমানবাহিনীর প্রধান আরতোর ম্যারিনো এ তথ্য জানান বলে বিবিসির খবরে বলা হয়।
স্থানীয় সময় গত সোমবার বিকেলে সি-১৩০ হারকিউলিস উড়োজাহাজটি ২১ জন যাত্রী ও ১৭ জন ক্রু নিয়ে চিলির পুন্তা অ্যারেনাস শহর থেকে যাত্রা করে। অ্যান্টার্কটিকার কিং জর্জ দ্বীপে একটি সামরিক ক্যাম্পে সহায়তা দিতে যাচ্ছিলেন আরোহীরা। কিন্তু যাত্রার সোয়া ঘণ্টা পরে নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে উড়োজাহাজটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি তখন ড্রেক প্যাসেজে ছিল।
ড্রেক প্যাসেজ হলো দক্ষিণ আটলান্টিক ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে সংযোগকারী একটি চ্যানেল। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য বিশেষ পরিচিতি আছে এই প্যাসেজের।
নিখোঁজদের আরোহীদের মধ্যে তিনজন চিলির সেনা সদস্য, দুজন ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং ও কনস্ট্রাকশন ফার্ম থেকে নিয়োগ পাওয়া সাধারণ মানুষ, একজন শিক্ষার্থী আর বাকি ১৫ জন বিমানবাহিনীর সদস্য।
এর আগে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল উড়োজাহাজটি যেখানে নিখোঁজ হয়েছে সেখান থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে মহাসাগরে কিছু ধ্বংসাবশেষ ভাসতে দেখা গেছে।
ম্যারিনো বলেন, ‘আমরা যেই পরিস্থিতি দেখেছি সেখানে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় কারও পক্ষে বেঁচে থাকা অবাস্তব।’
এর আগে ম্যাগালনেস গভর্নর জস ফার্নান্দেজ বলেন, উড়োজাহাজের চাকা, ল্যান্ডিং গিয়ারের অংশ, উড়োজাহাজের মূল কাঠামোর অংশবিশেষ এবং আরও অনেক টুকরো মহাসাগরে ভাসছিল। নিখোঁজদের স্বজনদের উদ্ধার অভিযানে পাওয়া তথ্য সম্পর্কে জানানো হয়েছে।
বিমানবাহিনীর কমান্ডার ওদোয়ারদো মোকুয়েরিয়া বলেন, বিমানবাহিনী এই ধ্বংসাবশেষগুলো নিখোঁজ উড়োজাহাজের কি না, তা নিশ্চিত হতে ‘করেসপন্ডিং চেক’ চালাচ্ছে। মানুষের ব্যবহার্য জিনিসগুলো দেখে মনে হচ্ছে এগুলো উড়োজাহাজের যাত্রীদের হতে পারে।
উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করতে ব্রাজিলের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ পাঠানো হয়েছি। তারাও কিছু ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো টুইটার লিখেছেন, ‘ব্রাজিলের আলমিরানতে ম্যাক্সিমিয়ানো নৌজাহাজটি মানুষের ব্যবহার্য কিছু জিনিস ও ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছে, যেগুলোর সঙ্গে চিলির নিখোঁজ উড়োজাহাজের মিল রয়েছে।’