আগরতলার এমবিবি বিমানবন্দর হবে বিশ্বমানের
বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে অবস্থিত আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম (এমবিবি) বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের করে তুলতে ৪৩৮ কোটি রুপি খরচ করবে ভারত সরকার। বিমানবন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
সম্প্রতি রাজ্য সরকার বিমানবন্দরটির আধুনিকীকরণের জন্য অতিরিক্ত ৭২ একর জমি তুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষের হাতে। রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজে এই জমি লাগানো হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে ১০০ গজের মধ্যেই শুরু হয়েছে এই রানওয়ে নির্মাণের কাজ।
রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী প্রণজিত সিংহরায় প্রথম আলোকে জানান, সংস্কারের কাজ শেষ হলেই তাঁরা ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ করবেন এটিকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করার। তিনি আশা করছেন, প্রতিবেশী বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম বা সিলেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিমান সংযোগ চালু হবে আগরতলার এমবিবি বিমানবন্দর দিয়ে। বিমান সংযোগ চালু হলে পর্যটনশিল্পেও অগ্রগতি আসবে।
১৯৪২ সালে ত্রিপুরার তৎকালীন মহারাজা বীর বিক্রম এই বিমানবন্দর গড়ে তোলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন যুদ্ধবিমানকে এই বিমানবন্দর ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। এই বিমানবন্দর থেকে রসদ ও গোলাবারুদ সরবরাহের কাজে করত আমেরিকান এয়ারফোর্স। ভারতে সীমান্ত–লাগোয়া আর কোনো বিমানবন্দর নেই। ভারতভাগের আগেই ব্রিটিশ সরকার এই বিমানবন্দর চালু করে।
মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্যের আমলে এই বিমানবন্দর স্থাপিত হওয়ায় গত বছরের জুলাইয়ে তাঁর নামেই এটির নামকরণ করা হয়। নামকরণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এখন বিমানবন্দরটিকে বিশ্বমানের করে তোলা হচ্ছে। চলতি বছরেই সংস্কারকাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বর্ষার কারণে নির্মাণকাজে দেরি হলে আগামী বছরের শুরুতে চালু হবে নতুন চেহারার আগরতলার এমবিবি বিমানবন্দর।
ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, উত্তর-পূর্ব ভারতের আট রাজ্যের মধ্যে এমবিবি বিমানবন্দর দ্বিতীয় ব্যস্ত বিমানবন্দর। বছরে নয় লাখ যাত্রী যাতায়াত করে। প্রথমে আছে গুয়াহাটির বিমানবন্দর।