২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

জাদু দেখাতে গিয়ে নদীতে নিখোঁজ

কলকাতার হাওড়া ব্রিজের নিচে ম্যানড্রেককে শিকল দিয়ে বেঁধে নদীতে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত
কলকাতার হাওড়া ব্রিজের নিচে ম্যানড্রেককে শিকল দিয়ে বেঁধে নদীতে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত

নতুন জাদু দেখাতে গিয়ে নদীর জলে নিখোঁজ হয়ে গেলেন ম্যানড্রেক নামের কলকাতার এক জাদুকর। ম্যানড্রেকের আসল নাম চঞ্চল লাহিড়ী। কলকাতার উপকণ্ঠের সোনারপুর-রাজপুর পৌরসভার চণ্ডীতলাতে তাঁর বাড়ি। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বিচিত্র ধরনের জাদু দেখিয়ে আসছিলেন।

গতকাল রোববার ম্যানড্রেক নতুন একটি জাদু দেখাতে গিয়েছিলেন কলকাতার হাওড়ার গঙ্গাবক্ষে। কলকাতার হাওড়া ব্রিজের নিচে তাঁকে শিকল দিয়ে বেঁধে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল নদীতে। জাদুটি ছিল, তাঁকে শিকল দিয়ে বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়া হবে। এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি নদীর তলদেশে শিকল খুলে বেরিয়ে আসবেন। তারপর তাঁকে তুলে আনা হবে।

এই লক্ষ্য নিয়ে কলকাতার ঐতিহাসিক হাওড়া ব্রিজের কাছে মিলেনিয়াম পার্কের কাছ থেকে একটি লঞ্চে করে শিকল–বাঁধা অবস্থায় নিয়ে আসা হয় জাদুকর ম্যানড্রেককে। তারপর জাদুকরকে বহনকারী লঞ্চটিকে আনা হয় হাওড়া ব্রিজের নিচে। সেখানে একটি ক্রেন এনে জাদুকরকে লঞ্চ থেকে তুলে এনে ছেড়ে দেওয়া হয় গঙ্গা নদীবক্ষে। জাদুকরের সঙ্গে ছিলেন তাঁর দলের ১৫ কর্মী এবং কলকাতা পৌর করপোরেশনের কাউন্সিলর দেবাশীষ কুমার। গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ জাদুকর ম্যানড্রেককে ছেড়ে দেওয়া হয় নদীবক্ষে। কিন্তু সময় অতিবাহিত হলেও জাদুকর আর নদীর ওপর উঠে না এলে চিন্তায় পড়ে যান এই জাদু দেখতে আসা হাজারো দর্শক এবং কাউন্সিলর স্বয়ং। তখন অনেকেই বলতে থাকেন, নদীর অন্য কোনো জায়গা থেকে ঠিকই উঠে আসবেন জাদুকর। কিন্তু আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি জাদুকরের।

এ ঘটনায় খবর দেওয়া হয়েছে কলকাতার উত্তর বন্দর থানা এবং কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে। তারা নদীতে নেমে খোঁজ শুরু করলেও আজ সকাল পর্যন্ত তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে জাদুকরের পরিবার। স্ত্রী ঋতা এবং ছেলে রুদ্র প্রসাদ জাদুকরের সহযোগী হিসেবে জাদু দেখিয়ে আসছেন। এর আগে ১৯৯৮ সালে বাক্সবন্দী অবস্থায় ম্যানড্রেককে গঙ্গাবক্ষে ফেলে দেওয়ার পর তিনি ফিরে আসায় তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে কলকাতাজুড়ে।

জাদুকর ম্যানড্রেক এর আগে হাত-পা বেঁধে সাঁতার কেটে, চোখ বেঁধে গাড়ি–বাস চালিয়ে কলকাতাবাসীকে চমকে দিয়েছিলেন।