ডিঙ্গোর মুখ থেকে শিশুকে ছিনিয়ে নিলেন বাবা
অস্ট্রেলিয়ার অবকাশকালীন দ্বীপ ফ্রাজারে একটি গাড়ি থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় এক শিশুকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল স্থানীয় বন্য কুকুর ডিঙ্গো। হামলার সময় শিশুটির বাবা জেগে ছিলেন। তিনি ডিঙ্গোর মুখ থেকে ১৪ মাসের শিশুটিকে উদ্ধার করেন।
আজ শুক্রবার স্থানীয় গণমাধ্যমকে প্যারামেডিক চিকিৎসক বেন ডু টয়েট বলেন, শিশুটির চিৎকার শুনে তার মা-বাবা জেগে ওঠেন। তাঁরা ডিঙ্গোটিকে ধাওয়া করেন। ডিঙ্গোর সঙ্গে লড়াই করে শিশুটিকে ছিনিয়ে আনেন। ডিঙ্গোর হামলায় শিশুটির মাথা ও গলায় আঘাত লেগেছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ফ্রাজার দ্বীপে ডিঙ্গোদের সংরক্ষিত করে রাখা হয়। পর্যটকদের কাছে ডিঙ্গো খুব আকর্ষণীয়। তবে এরা প্রায়ই হামলা চালায়। ফ্রাজার দ্বীপে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ডিঙ্গোর হামলার ঘটনা ঘটল।
১৯৮০ সালে আজারিয়া চেম্বারলেন নামের এক শিশু তাঁবু থেকে নিখোঁজ হয়। শিশুটি সে সময় মায়ের সঙ্গে ছিল। শিশুটির মৃতদেহ আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার রহস্যময় ঘটনা। এ ঘটনার ওপর পরবর্তী সময়ে একটি সিনেমাও হয়। সন্তানের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ করা হয় মা আজারিয়াকে। তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ২০১২ সালে আদালত বলেন, ডিঙ্গো আজারিয়াকে মেরে ফেলেছিল।
৪ হাজার বছর আগে থেকেই অস্ট্রেলিয়ায় ডিঙ্গোদের বসবাস। কুইন্সল্যান্ডের ন্যাশনাল পার্কে ডিঙ্গোদের সংরক্ষিত রাখা হয়। এটি বিশ্ব ঐতিহ্যমণ্ডিত এলাকা।
কুইন্সল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সায়েন্স বলছে, ফ্রাজার দ্বীপে প্রায় ২০০ ডিঙ্গো রয়েছে। এই বিভাগ তাঁদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে সতর্কতা জারি করে বলেছে, ডিঙ্গোরা প্রায়ই লোকালয়ে চলে আসে। এ সময় প্রায়ই ডিঙ্গোরা মানুষের ওপর হামলা চালায়।