২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

হামলাকারীর কাছে বৈধ অস্ত্র ছিল

ব্রেনটন টারান্ট
ব্রেনটন টারান্ট

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। স্থানীয় সময় আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, হামলাকারীর নাম ব্রেনটন টারান্ট (২৮)। হামলাকারী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। তিনি দুই বছর ধরে নিউজিল্যান্ডের ডানিডিনে বসবাস করছেন। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। 

নিহত ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা জানাতে ক্রাইস্টচার্চে ফুল দিচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। ছবি: এএফপি
নিহত ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা জানাতে ক্রাইস্টচার্চে ফুল দিচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। ছবি: এএফপি

নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন জানান, হামলাকারী বৈধ অস্ত্র বহন করছিলেন। এতে হামলায় ব্যবহৃত গুলি কিনতে তাঁর সমস্যায় পড়তে হয়নি। এ ঘটনার পর নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছেন আরডার্ন। উপপ্রধানমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স বিরোধী দলের নেতা সাইমন ব্রিজেসসহ অন্যদের নিয়ে আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী।
হামলাকারী ব্রেনটন টারান্টকে ক্রাইস্টচার্চ জেলা আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালত আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ব্রেন্টন টারান্টের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। টারান্টের বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা করা হয়েছে। বিচারক জানিয়েছেন, অবশ্যই মামলার সংখ্যা আরও বাড়বে। টারান্ট হাসিমুখে আদালতে থাকা সাংবাদিকদের তথ্যের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে জানানো হয়।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। ছবি: এএফপি
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। ছবি: এএফপি

এ ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ শোক-নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে মোমবাতি জ্বেলে শোক জানাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাধারণ মানুষ এ হামলায় নিহত ব্যক্তিদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারে বাতি নিভিয়ে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

নিহত ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা জানাতে ক্রাইস্টচার্চে ফুল দিচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। ছবি: এএফপি
নিহত ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা জানাতে ক্রাইস্টচার্চে ফুল দিচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। ছবি: এএফপি

গতকাল শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ আদায়ের সময় ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা হয়। এতে নিহত হন ৪৯ জন। এর মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি ছিলেন। এ ঘটনায় আহত ৪৮ জন। হামলায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়েরা অল্পের জন্য রক্ষা পান।