ক্ষমতায় গেলে হিন্দু শরণার্থীদের জন্য আইন হবে: অমিত শাহ
ক্ষমতায় গেলে ফের হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্বের বিষয়ে ভাববে বিজেপি—দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের এই মন্তব্যের জেরে ফের আসামে শুরু হয়েছে বিজেপিবিরোধী বিক্ষোভ।
সামনেই ভারতের লোকসভা নির্বাচন। দলের সংগঠনকে আরও মজবুত করতে দুই দিনের আসাম সফরে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। গতকাল রোববার রাজ্যের লখিমপুরে জনসভায় অংশ নেন বিজেপির সভাপতি। সেখানে তিনি বলেন, বিজেপি আবার ক্ষমতায় এলে হিন্দু শরণার্থীদের জন্য আইন তৈরি করা হবে।
এর আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ও পারসি শরণার্থীদের শর্ত সাপেক্ষে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে চেয়েছিল বিজেপি সরকার। প্রবল বিরোধিতার মধ্যেই ভারতের জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় প্রয়োজনীয় বিলটি পাসও করায় সরকার। কিন্তু সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিলটি পেশই করা হয়নি। ভারতের সাধারণ নির্বাচনের আগে এটাই ছিল সংসদের শেষ অধিবেশন। তাই ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী বিলটি বাতিল হয়ে যায়।
বিজেপি সভাপতি অবশ্য এখনো আশাবাদী, তাঁরাই ফের ক্ষমতায় আসছেন। আর ক্ষমতায় এলে আইন সংশোধন করবে নতুন সরকার। গতকাল আসামে এই প্রতিশ্রুতি দেন অমিত শাহ।
অমিত শাহের এই মন্তব্যের পরই শুরু হয় বিতর্ক। আসামের যুব ছাত্র পরিষদ লখিমপুরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পোড়ানো হয় অমিত শাহের কুশপুত্তলিকা।
অবিজেপি আঞ্চলিক দলগুলোর জোটও জানায়, কোনো অবস্থাতেই তারা নাগরিকত্ব সংশোধনীর চেষ্টা মানবে না। অসম গণপরিষদের সভাপতি অতুল বরা সাংবাদিকদের বলেন, ‘পূর্ণ শক্তি দিয়ে আইন সংশোধনের কাজ রুখে দেবেন এখানকার ভূমিপুত্ররা।’
গত বছর নাগরিকত্ব সংশোধনীর প্রতিবাদে উত্তর–পূর্বাঞ্চলজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। বিজেপির শরিক দল অগপ জোটও মন্ত্রিসভা ছেড়ে বেরিয়ে আসে। এমনকি ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার প্রকাশ্যে হুমকি দিতে থাকে কয়েকটি সংগঠন। তবু বিজেপি এখনো নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের পক্ষে। দলের বর্ষীয়ান নেতা ও আসামের অর্থমন্ত্রী হীমন্ত বিশ্বশর্মার বলেন, ‘আসামকে দ্বিতীয় কাশ্মীর বানাতে দেব না।’