সিনেমার চুক্তি, জনপ্রিয় বই, ফেসবুকে ১২ লাখেরও বেশি লাইক, ইউটিউবে ৭০ লাখেরও বেশি ভিউ, নিজের নামে কফি—একজন তারকার আর কী চাই। হলিউডের রথী-মহারথীরা হিংসায় জ্বলে যাচ্ছেন। কার সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে? এক বিড়ালের সঙ্গে। ‘গ্রাম্পি ক্যাট’ বা গোমড়ামুখো বিড়াল নামে দুনিয়াজুড়ে খ্যাতি পেয়েছে সে। আসল নাম তার টারডার সস। ইন্টারনেট তারকা বলতে যা বোঝায়, তাতে যেন নতুন মাত্রা যোগ করেছে টারডার সস।
নিজের নামের খেলনা, টি-শার্ট, মগ বিক্রি করেই তার মাসে আয় হয় লাখ ডলারের কাছাকাছি। দিনে মাত্র দুই ঘণ্টা কাজ করতে হয়। বাকি সময় খেলা আর ঘুম। সপ্তাহে একবার ফটোসেশন। তবে এত আরামের জীবনেও খুশি নয় সে, অন্তত তার চেহারা দেখে তো মনে হয় না। সব সময়ই গোমড়া সে। তবে তার মালিক ট্যাবাথা বুন্ডেসেন অবশ্য বলেছেন, ৯৯ ভাগ সময়েই সে খুশি থাকে, সেটা চেহারায় ফুটে ওঠে না, এই যা। অসুস্থতার জন্যই নাকি তার চেহারা এমন। ফেলাইন ডোয়ার্ফিজম বলে রোগটাকে। সে যা-ই হোক, এই চেহারা নিয়েই তো সে তারকা।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর এক তার মেরামতকারী রবার্ট বুন্ডেসেন গিয়েছিলেন বোনের বাড়ি বেড়াতে, অ্যারিজোনায়। উঠানে খেলছিল গ্রাম্পি। রবার্ট তার ছবি তুলে ছেড়ে দিলেন ইন্টারনেটে। ব্যস, গোমড়ামুখো বিড়ালে মজে গেল ইন্টারনেট-দুনিয়া। এক ভাইও আছে গ্রাম্পির, তার নাম পোকি। সে অবশ্য গোমড়ামুখো নয়, মানে দেখতে গোমড়া নয়। তবে ট্যাবাথা বলেছেন আসলে পোকি-ই নাকি গোমড়া, আর গ্রাম্পি হাসিখুশি।
‘একবারই আমি মজা করেছিলাম, সেটা জঘন্য ছিল’, ‘পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ আছে’, দুই দলকেই আমি অপছন্দ করি’ গোমড়ামুখো বিড়ালের ছবির সঙ্গে এসব স্লোগান দিয়ে নানা মিম তৈরি করা হচ্ছে। সেসব ইন্টারনেটে ছড়িয়েও পড়ছে। টাইম সাময়িকীতে ছাপা হয়েছে তাকে নিয়ে প্রতিবেদন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর প্রথম পাতাতেই ছাপা হয়েছে তার খবর। ফোর্বস ম্যাগাজিনের অফিসও ঘুরে এসেছে সে। খুদে এই তারকা ভালোই দিন কাটাচ্ছে। এ বছরের ৪ এপ্রিল সে পালন করেছে প্রথম জন্মদিন।
সূত্র: টাইম ও হাফিংটন পোস্ট
রুহিনা তাসকিন