মাঝেমধ্যেই শিশুতোষ আচরণ করে জার্মান প্রতিষ্ঠান বিএমডব্লিউ। শিশুরা যেমন নতুন খেলনা সবাইকে দেখিয়ে বেড়ায়, তবে নাড়তে দেয় না, ঠিক তেমন।
দিন দুয়েক আগে বিএমডব্লিউ ঘোষণা দিয়েছে, ‘আমরা স্কুটারের ধারণা বদলে দিতে চাই।’ সঙ্গে স্কুটারের ছবি দেখিয়েছে। ব্যাস, ওটুকুই। আর কিছু বলতে নারাজ গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠানটি। উৎপাদন কবে শুরু, কবে গ্রাহকের ঘরে উঠবে, স্পেসিফিকেশন কেমন হবে—কিচ্ছু না।
যেটুকু জানা গেছে তাতে বোঝা যাচ্ছে, স্কুটারটি বৈদ্যুতিক। অর্থাৎ, তেল-গ্যাসের বদলে চলবে চার্জে। আপাতত গালভরা এক নামও দিয়েছে। মটোর্যাড ডেফিনিশন সিই ০৪। নকশায় বেশ একটা ‘কুল’ ভাব আছে। যেন ভবিষ্যতের বাহন। ব্যাপারটা অবশ্য তেমনই। কনসেপ্ট ভেহিক্যলের বাংলা তো ভবিষ্যতের বাহনই হওয়া উচিত।
সামনের দিকটা ঢালু, আসন বেশ নিচু। মোটকথা, স্কুটার বলতে যে নকশা আমাদের মানসপটে ভাসে, তার সঙ্গে মিল নেই। ব্যাটারি রাখার জায়গা সম্ভবত পা-দানির নিচে। আর এতে সুবিধার যা হয়েছে তা হলো, আসনের নিচে বড়সড় জায়গা পাওয়া যাবে। যখন ব্যবহার হচ্ছে না, হেলমেটটা সেখানে ঢুকিয়ে রাখতে পারেন। কিংবা কাঁধের ব্যাকপ্যাকও স্বাচ্ছন্দ্যে এঁটে যাওয়ার কথা।
বিএমডব্লিউ বলছে, নকশার পাশাপাশি প্রযুক্তিতেও নতুনত্ব থাকবে। তা ছাড়া পেছনের দিকে ইঞ্জিনের খানিকটাও দেখা যায়। প্রথম দর্শনে অন্যান্য স্কুটারের সঙ্গে একই কাতারে না ফেলার সেটাও একটা কারণ।
অবশ্য বিএমডব্লিউয়ের মটোর্যাড বিভাগের প্রধান আলেকজান্দার বুকান বলেছেন, স্কুটার চমৎকার আবহাওয়ায় পাহাড়সারির মধ্য দিয়ে চালিয়ে যাওয়ার মতো ‘ফান বাইক’ না। বরং বাড়ি থেকে অফিসে কিংবা সন্ধ্যাবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার মতো নিত্যদিনের ব্যবহারিক বাহন।
বুকানের কথাও ফেলে দেওয়ার মতো নয়। যাহোক, পরীক্ষামূলক পর্যায় শেষে সিই ০৪ যখন রাস্তায় নামবে, প্রতিযোগী কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা কম হবে বলে মনে হয় না। কারণ, ওদিকে একঝাঁক বৈদ্যুতিক স্কুটার নিয়ে তৈরি হচ্ছে চীন।