খেলার ধুলা
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবেন বলেই বার্সা ছাড়ছেন মেসি
‘একটু থামুন’ ডেস্কের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য, বাংলাদেশে ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি...
বার্সাভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ। গতকাল বুধবার লিওনেল মেসির বাবা ও এজেন্ট হোর্হে মেসির সঙ্গে বার্সেলোনা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের বহুল প্রত্যাশিত বৈঠকটি হয়েছে ঠিকই, তবে সেটিতে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তার মানে মেসির বার্সা ছাড়ার ব্যাপারটি নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেল। তবে ‘একটু থামুন’ ডেস্কের অনুসন্ধানে আর্জেন্টাইন তারকার বার্সা ছাড়ার ব্যাপারে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বাংলাদেশে ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি।
মেসি কেন বার্সা ছাড়তে চান, সেটির পেছনে অনেক কারণই খুঁজে পেয়েছে বিশ্ব সংবাদমাধ্যম। বার্সার বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়া, তাঁর পছন্দের খেলোয়াড় ধরে না রাখা কিংবা না কেনা, অপছন্দের কোচকে নিয়োগ দেওয়া, সব মিলিয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষের নানা সিদ্ধান্তে বিরক্ত হয়ে মেসি বার্সা ছাড়তে চাইছেন, এটাই শোনা যাচ্ছে গত কদিনে। কিন্তু ‘একটু থামুন’-এর হাতে এসেছে ভিন্ন তথ্য। সম্পূর্ণ অসমর্থিত সূত্রে পাওয়া সেসব নথিতে (বেশির ভাগ কাগজে লালচে দাগ দেখে মনে হয়েছে, নথিগুলো কেউ জর্দা দিয়ে পান খেয়ে ঘেঁটেছেন) চোখ বুলিয়ে দেখা যাচ্ছে, মেসি আসলে বার্সা ছাড়তে চাইছেন ভিন্ন এক কারণে। আর্জেন্টাইন মহাতারকা বাংলাদেশে ব্যবসা খাতে বিপুল বিনিয়োগ করতে যাচ্ছেন।
মেসির পারিবারিক সূত্রে (ভদ্রলোক তাঁর বাগানের মালি হবেন সম্ভবত) জানা গেছে, চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্নের কাছে ৮-২ গোলে হারের পর কাতালান রাজ্যের বাসায় যখন মেসির বিষণ্ন সময় কাটছিল, তখন প্রচুর বাংলাদেশি সমর্থক তাঁকে ইনবক্স করে বলেছেন, ভাই, ফুটবল ছেড়ে বাংলাদেশে জর্দার ব্যবসায় নামেন। বার্সা আর কয় টাকা দেয়, এখানে আরও বেশি পাবেন।
বিষয়টি শুরুতে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও মেসির মাথায় শেষমেশ ব্যাপারটা ঢুকে গেছে। এরপরই সিদ্ধান্ত নেন, এবার বাংলাদেশে জর্দার ব্যবসার বিপুল সম্ভাবনা তিনি কাজে লাগাবেন।
ইতিমধ্যে তাঁর ভক্তরা বাজার যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে পরীক্ষামূলকভাবে বাজারে এনেছেন মেসি ব্র্যান্ডের জর্দা। ‘একটু থামুন’-এর হাতে সেই জর্দার ছবিও এসেছে।
এই জর্দার ব্যবসায় পুরো মনোযোগ দেবেন ভেবেই নাকি মেসি বার্সাকে জানিয়ে দেন, তিনি ক্লাব ছাড়তে চান। মেসির বার্তা পেয়ে বার্তোমেউয়ের (বার্সা সভাপতি) মাথা নষ্ট। রাতে তাঁর ঘুম হচ্ছে না। যেহেতু ঘুম হচ্ছে না, সারা রাত জেগে তিনি নানা উপায় খুঁজছেন মেসিকে আটকাতে। এ কারণে মেসির রিলিজ ক্লজ ৭০ কোটি ইউরো থেকে কিছুতেই সরে আসতে রাজি হচ্ছেন না তিনি।
মেছি বছ আইলে আমগো দ্যাশের জর্দা ব্যবসার সুরতটাই হালায় চেঞ্জ হইয়া যাইব।কেরামত জোয়ার্দার, বিশিষ্ট জর্দা ব্যবসায়ী, পুরান ঢাকা
মেসিও চাইছেন তাঁর বিদায়ের প্রক্রিয়াটা যেন তিক্ত না হয়। দুই পক্ষের এই দড়ি–টানাটানি হয়তো আরও কিছুদিন চলবে। বাংলাদেশের জর্দা ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা আশাবাদী, এই দড়ি–টানাটানি অবিলম্বেই শেষ হবে, মেসি পূর্ণ মনোযোগ দেবেন জর্দার ব্যবসায়ে। পুরান ঢাকার বিশিষ্ট জর্দা ব্যবসায়ী কেরামত জোয়ার্দার দারুণ আশাবাদী, মেসির এই সিদ্ধান্তে দেশের জর্দা ব্যবসা নতুন আলো খুঁজে পাবে। গতকাল পানভরা মুখে মুঠোফোনে তিনি বলছিলেন, ‘মেছি ভাই রে বার্সা হালায় কিছুতেই আটকাইতে পারব না। বার্সার তালা ভাঙমু, মেছি ভাই রে আনমু!’ মুঠোফোনের ওপ্রান্তে পিচিক করে পানের পিক ফেলে তিনি যোগ করেন, ‘মেছি বছ আইলে আমগো দ্যাশের জর্দা ব্যবসার সুরতটাই হালায় চেঞ্জ হইয়া যাইব।’
মেসির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এরই মধ্যে ফেসবুকে অনেক পেজও খোলা হয়েছে। এমনই একটি পেজের প্রশাসক (অ্যাডমিন) খয়ের খান জানালেন, মেসির নতুন সিদ্ধান্তে তিনি বেজায় খুশি। তাঁর আশা, মেসি যেভাবে ভিনগ্রহের ফুটবল খেলেন, জর্দা ব্যবসাতেও ভিনগ্রহের স্বাদ দেবেন।
যাঁর পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে এত কৌতূহল আর আলোচনা, সেই মেসিকে মুঠোফোনে (উচ্চ কলরেটে) অনেকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় একটি উত্তর অবশ্য পাওয়া গেছে, ‘হালা মাদ্রিদ’। ফিরতি মেসেজ দেওয়ার পর মেসি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘সরি ভাই, মেসেজটা আমার বড় ছেলে সেন্ড করে ফেলেছে!’