দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার ড্যারিল কালিনানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘আপনার প্রিয় অভিনেতা কে?’
উত্তরে বলেছিলেন, ‘ডাস্টিন হফম্যান ও অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বোলার। আউটের জন্য আবেদন করার সময় তাঁদের অভিনয়–প্রতিভা সর্বোচ্চ মাত্রায় বিকশিত হয়।’
একবার অস্ট্রেলিয়ার ওই বোলারদের মতোই আরেক বোলারের বেশ কয়েকটি আপিল নাকচ করে দিলেন আম্পায়ার। বোলার খুব ঠান্ডা মাথায় আম্পায়ারকে বললেন, ‘আপনার কি দয়া করে এক মিনিট সময় হবে?’
আম্পায়ার বললেন, ‘হ্যাঁ, হবে।’
বোলার বললেন, ‘ঠিক আছে, তাহলে আমাকে এখন খুলে বলুন তো, ক্রিকেট সম্পর্কে আপনি কী কী জানেন?’
আম্পায়ার ভদ্রলোক ক্রিকেট সম্পর্কে কী কী জানেন, তা বলে পাক্কা এক মিনিট কাটাতে পেরেছিলেন কি না, কে জানে!
২.
বোলার, বিশেষ করে পেস বোলাররা যে কিছুটা খ্যাপাটে হয়, তা সবারই জানা। তবে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেস বোলার ডেনিস লিলি একবার বিনয়ের অবতার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন গণমাধ্যমের সামনে। দ্বিধাহীন কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘শচীনের বিপক্ষে বল করতে হলে আমি হেলমেট পরে নেব। ও এত জোরে বল পেটায়!’
ক্রিকেটে যেমন এমন প্রশংসাবাণী শোনা যায়, তেমনি শোনা যায় স্লেজিং! বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে খালেদ মাসুদ পাইলট খুব ঠেকিয়ে খেলছিলেন। তখন টিকে থাকাই ছিল মাঠে নামার অন্যতম উদ্দেশ্য। সৌরভ গাঙ্গুলী এসে বললেন, ‘এত বিরক্তিকর ব্যাটিং কোথায় শিখলে?’
পাইলটও কম যান না। মুখের ওপর জবাব দিয়ে দিলেন, ‘তোমাদের সুনীল গাভাস্কারের কাছ থেকে। তিনি তো ৬০ ওভার মাঠে টিকে ১৭৪ বল খেলে তুলেছিলেন মাত্র ৩৬ রান! মনে নেই?’
৩.
এত লম্বা সময়ের খেলা! তার পরও বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেট উপভোগ করে। যেমনটা আমরা এখন উপভোগ করছি বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ম্যাচ। বছর দশেক আগেও একইভাবে উপভোগ করতাম আমরা। তবে মাঝেমধ্যে দুঃস্বপ্নের মতো ম্যাচও দেখতে হতো। সে সময়ের একটা কথা মনে পড়ছে। সেদিনও বাংলাদেশের খেলা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে। এবং বাংলাদেশ দারুণ খেলে ম্যাচ ড্র করে ফেলল। ওই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেছিলেন মোহাম্মদ রফিক। ওরকম একটা দারুণ ম্যাচ আমাদের বন্ধুদের মধ্যে কেবল একজনই দেখেনি। যথারীতি বাকি সবাই তার ওপর বিরক্ত। খেলা শেষে ওই বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী রে, খেলা দেখলি না যে?’
বন্ধুর জবাব, ‘ঘুম ঘুম চোখে একবার দেখতে বসেছিলাম, এত ভালো খেলছিল ওরা, ভাবলাম স্বপ্ন! তাই আবার ঘুমিয়ে পড়লাম।’