২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

বসের কৌতুকই যখন মাথাব্যথা

মাথাব্যথা কার নেই? নানা কারণে নানা ধরনের মাথাব্যথায় ভুগি আমরা। মাথাব্যথা আদতে রোজকার বিষয়। তাই মাথাব্যথা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সহজভাবে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। ৬-১২ সেপ্টেম্বর ‘মাইগ্রেন ও মাথাব্যথা সচেতনতা সপ্তাহ–২০২০’। এ উপলক্ষে আমাদের সপ্তাহব্যাপী আয়োজনের আজ প্রথম দিন। আজ থাকছে মাথাব্যথা নিয়ে চারটি কৌতুক...

নাতির মাথাব্যথা দাদার কাছে

নাতি স্কুল ফাঁকি দিয়েছে। তাই দাদা জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী রে, স্কুলে যাসনি কেন?’

নাতি কপালে হাত রেখে বলল, ‘খুব মাথাব্যথা করছিল, দাদা।’

ঠিক সে সময় দাদার মুঠোফোন বেজে উঠল। ফোন রেখে দাদা তাঁর নাতিকে বললেন, ‘খুব পেকেছিস, না?’

নাতি কিছুটা ভড়কে গেল, ‘কেন, কী হয়েছে?’

দাদার মুখে দুষ্টুমির হাসি, ‘যা, পালা তাড়াতাড়ি! তুই আজকে স্কুলে যাস নাই, তাই তোর টিচার বাড়িতে আসছেন।’

নাতি বিষয়টা মোটেও পাত্তা না দেওয়ার ভঙ্গি করে বলল, ‘আমি পালাব না, তুমি বরং পালাও। আমার অত মাথাব্যথা নেই।’

দাদা তো অবাক, ‘কেন?’

নাতি সব কটা দাঁত বের করে হেসে বলল, ‘কারণ, আমি স্যারকে বলেছিলাম, আমার দাদা মারা গেছেন, তাই স্কুলে যাব না।’

পড়শি যখন মাথাব্যথা

অফিস থেকে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরলেন কাজিম সাহেব। অফিসের বার্ষিক হিসাবে গন্ডগোল হওয়াতে ভীষণ মাথাব্যথা তাঁর। স্ত্রীকে ডেকে বললেন, ‘পাশের ফ্ল্যাটের ওদের কাছ থেকে একটু টাইগার বামটা নিয়ে আসো না। প্রচণ্ড মাথাব্যথা!’

কিছুক্ষণ পর কাজিম সাহেবের স্ত্রী রাগে গজগজ করতে করতে ফিরে এসে বললেন, ‘মা গো মা, কী কিপটার কিপটা! একটুখানি টাইগার বাম, তা-ও দিল না! বলে কি না শেষ। অথচ আমি গতকালও ওই ভাবির শরীর থেকে টাইগার বামের গন্ধ পেয়েছি।’

কাজিম সাহেব প্রচণ্ড মাথাব্যথায় মুখ কুঁচকে বললেন, ‘কী আর করবে! মানুষ আর মানুষ নেই এখন! যাও, আলমারি থেকে আমাদের টাইগার বামটাই বের করে আনো।’

কারও যখন মাথাব্যথা নেই

দুই বন্ধু কথা বলছিল—

রবিন: মনটা খুব খারাপ, দোস্ত।

দীপু: কেন, কী হলো আবার?

রবিন: কী আর হবে! আমি বেঁচে আছি নাকি মরে গেছি, তা নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথাই নেই!

দীপু: তাহলে এক-দুই মাস বাড়িভাড়া দেওয়ার কথা ভুলে গিয়ে দেখ।

বসের কৌতুকই মাথাব্যথা

সেদিন দুপুরে বসের মুড বেশ ভালো। কর্মীদের একের পর এক ‘স্বরচিত’ কৌতুক শোনাচ্ছিলেন। কর্মীরাও বসকে খুশি করার জন্য হাসছিল হো হো করে। শুধু হাসছিল না এক কর্মী।

পাশ থেকে আরেক কর্মী জানতে চাইল, ‘কী ব্যাপার, আপনি হাসছেন না কেন? বসের কৌতুক বলে কথা। আমার এত মাথাব্যথা, তারপরও দেখেন না আমি কেমন দাঁত কেলিয়ে হাসছি।’

আগের মতোই বিরস মুখে ওই কর্মীর জবাব, ‘আমি কাল চাকরি ছেড়ে দিচ্ছি। আমার অত হাসাহাসি না করলেও চলবে।’