মেদভুঁড়ি তথা মোটা হওয়ার সমস্যাটা আগে কেবল পশ্চিমা উন্নত বিশ্বের মানুষেরই একচেটিয়া ব্যাপার ছিল। কিন্তু আজকাল দেখা যাচ্ছে, মোটা হওয়ার প্রবণতা এশিয়া-আফ্রিকার দরিদ্র মানুষের মধ্যেও কম নয়। অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণই হলো মোটা হওয়ার প্রধান কারণ। ইউরোপ-আমেরিকায় ফাস্টফুড, আইসক্রিম, চকলেট, কোমল পানীয় প্রভৃতি মুখরোচক খাদ্য মোটা হওয়ার প্রধান উপাদান।
গরিব দেশগুলো বহুদিন এসব আপদ থেকে দূরে ছিল। কারণ, এখানে ম্যাকডোনাল্ড’স বা বিগ বাইটের মতো আকর্ষণীয় ফাস্টফুড চেইনের আগ্রাসন বিলম্বিত হয়েছে। কিন্তু বাজার না থাকলে ওদের ব্যবসার বিস্তার ঘটবে কীভাবে? তাই এখন ধীরে ধীরে এসব আসতে শুরু করেছে।
গরিব দেশের মানুষেরও আয়-উপার্জন কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। শুধু তা-ই নয়, জেনেটিক্যালি মডিফাইড (জিএম) ফুড আসছে। ফার্মের মাছ, মুরগির ডিম, দুধে রয়েছে অতিরিক্ত হরমোন, যা অনেক সময় শরীরে মেদ বৃদ্ধির সহায়ক। আগে মানুষ ঘরের আঙ্গিনার দুমুঠো শাকসবজি, পুকুরের দুটি পুঁটি মাছ, হাড়জিরজিরে মুরগি খেয়ে দিন কাটাত। এখন সেই দিন শেষ। আগে গ্রামের মানুষের দিনে ৫-১০ মাইল হেঁটে কাজকর্ম করা ছিল সাধারণ ব্যাপার। এখন ঘর থেকে বের হলেই বাস কিংবা ইজিবাইক। ওদিকে পশ্চিমা দেশের মানুষের খাদ্যতালিকায় ফলমূল, শাকসবজির অংশ বেশি; কিন্তু গরিব দেশের মানুষের কাছে ফলমূল তেমন খাদ্য হিসেবে গণ্য হয় না। তাই গরিব মানুষ গরিবই আছে, তবে তার মধ্যেও কিছু লোক আধুনিকতার কল্যাণে গরিবি হালে মোটা হচ্ছে।