ইতিহাস
খুন করে ফেরারি হয়েছেন যে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট
এক সময়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আসনে বসতে যাচ্ছেন। অনেকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ অনেকটা আলংকারিক। এ নিয়ে তর্ক হতে পারে, তবে ইতিহাসে তাঁদের গুরুত্ব নিয়ে তর্কের অবকাশ নেই। অবশ্য অঘটনেও তাঁরা কম যাননি। চলুন জেনে নেওয়া যাক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টদের সম্পর্কে ১০টি তথ্য।
১.
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জো বাইডেনের আগে ১৪ জন ভাইস প্রেসিডেন্ট পরবর্তী সময়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। এঁদের অর্ধেকের বেশি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। কারণ, সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট মারা গিয়েছিলেন।
২.
যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামসের আমলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন থমাস জেফারসন। পরবর্তী নির্বাচনে অ্যাডামসকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হন জেফারসন।
৩.
চার্লস জি ডজ, আল গোর এবং থিওডর রুজভেল্ট—এই তিন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।
৪.
২২তম ভাইস প্রেসিডেন্ট লেভি মরটন তাঁর সময়ের সবচেয়ে সম্পদশালী ব্যাংকার ছিলেন।
৫.
হ্যানিবাল হ্যামলিন ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় মার্কিন কোস্ট গার্ডে করপোরাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
৬.
যুক্তরাষ্ট্রের ১৭তম ভাইস প্রেসিডেন্ট স্কাইলার কোলফ্যাক্সের নামে ওয়াশিংটন, লুইজিয়ানা ও ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে শহর আছে।
৭.
ভাইস প্রেসিডেন্টদের মধ্যে দুজন দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁদের একজন দেশটির সপ্তম ভাইস প্রেসিডেন্ট জন সি ক্যালহুন, অপর জন ৩৯তম ভাইস প্রেসিডেন্ট স্পাইরো অ্যাগনিউ।
৮.
জনগণ কখনো নির্বাচিত না করলেও যুক্তরাষ্ট্রে ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন দুজন।
৯.
ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় মারা গেছেন সাতজন। তাঁরা হলেন জর্জ ক্লিনটন, এলব্রিজ গেরি, উইলিয়াম রুফুস ডি ভেন কিং, হেনরি উইলসন, থমাস হেনড্রিকস, গ্যারেট হবার্ট ও জেমস শারম্যান। ১৮৭৫ সালে হেনরি উইলসন নিজ অফিসেই শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১০.
যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যারন বার আরেক মার্কিন রাজনীতিবিদ আলেক্সান্ডার হ্যামিলটনকে খুন করে ফেরারি হয়েছিলেন।
অ্যারন বারের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হ্যামিলটন। দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব তাঁরা ডুয়েল লড়ার মাধ্যমে সমাধান করতে চেয়েছিলেন। ১৮০৪ সালের ১১ জুলাই সকালে তাঁরা নৌকায় করে নিউ জার্সির উইহকেনে পৌঁছান।
ডুয়েলের নিয়ম হলো, দুই প্রতিদ্বন্দ্বী একে-অপরকে লক্ষ্য করে পিস্তল থেকে গুলি ছুড়বেন। যিনি বেঁচে থাকবেন, তিনি জয়ী। কেউ হতাহত না হলে, দুজনের সম্মতিতে ডুয়েল সমাপ্ত ঘোষণা করা যেতে পারে।
বারের পিস্তলের গুলি হ্যামিলটনকে আঘাত করে। আর হ্যামিলটনের গুলি গাছের ডালে লেগেছিল বলে কোথাও কোথাও উল্লেখ পাওয়া যায়। পরদিন বেলা দুটার দিকে মারা যান হ্যামিলটন।
সে সময় ওই অঞ্চলে ডুয়েল লড়া নিষিদ্ধ ছিল। ফলে বারের বিপক্ষে অভিযোগ আসে। আরও নানা কারণে এক সময় পলাতক হন তিনি। আর সেই লড়াইয়ের প্রভাবে অ্যারন বারের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়।