ঘরে পোষা পশুপাখির অসুখ-বিসুখ হলে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল ও ডাক্তার আছে। কিন্তু বনের পশুপাখির অসুখ হলে তাদের ডাক্তারি কে করে? এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, ওদের ডাক্তার লাগে না, নিজেরাই ভেষজ চিকিৎসায় অসুখ-বিসুখ সারিয়ে ফেলতে ওস্তাদ। এ ব্যাপারটা মোটামুটি সবাই জানেন; কিন্তু ঠিক কীভাবে এ চিকিৎসা হয়, ওষুধপথ্য কী—সেটা সুনির্দিষ্টভাবে জানার জন্য গবেষণা করতে হয়েছে। কুকুর–বিড়ালের পেটের অসুখ হলে ওরা ঘাস, লতাপাতা খেয়ে বমি করে সুস্থ হয়ে ওঠে। আফ্রিকার একধরনের শিম্পাঞ্জির পেটের অসুখ হলে ভেরোনিয়া নামক উদ্ভিদের বিষাক্ত ফল খেয়ে অনায়াসে সুস্থ হয়ে ওঠে। এই ফল বেশি খেলে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুও হতে পারে। কিন্তু ওই প্রজাতির শিম্পাঞ্জি ওষুধের ডোজ ভালোই জানে।
কোনো প্রাণী, যেমন হাতি অনেক সময় মাটি খায়। দেখা গেছে, কাদামাটিতে বিভিন্ন খনিজ লবণ থাকে, যা প্রাণীর শরীরের জন্য প্রয়োজন। মাটি বিষনাশক হিসেবেও কাজ করে। কোনো কোনো বুনো উদ্ভিদ আত্মরক্ষার জন্য নিজ দেহে বিষাক্ত পদার্থ জন্ম দেয়। কোনো প্রাণী সেই উদ্ভিদ খেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ধরনের আপদ থেকে বাঁচার জন্য অনেক প্রাণী মাটি খায়। কারণ, মাটিতে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা প্রাণীকে বিষক্রিয়ার হাত থেকে বাঁচায়। বুনো পশুপাখিরা এই সব ডাক্তারিবিদ্যা বংশগতির ধারায় উত্তরাধিকারসূত্রে অর্জন করে।