কল রেকর্ড ফাঁস করে যেভাবে বিজ্ঞাপন হিট করা যায়

কোলাজ: একটু থামুন

কারও কল রেকর্ড ফাঁস হলে প্রগতিশীল কিংবা প্রগতিহীন, সুশীল, আধা সুশীলসহ মোটামুটি সবাই সেটা খুব মন দিয়ে শোনেন। জেমসের নতুন গান এলেও এভাবে কেউ শুনতেন না। ফলে কল রেকর্ড ফাঁস হওয়ার ব্যাপারটা কিন্তু বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যায়। বিজ্ঞাপনের মূল কাজই হলো গল্পের মাধ্যমে মেসেজটা অডিয়েন্সের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া। কল রেকর্ড ফাঁসের যে অডিয়েন্স, তার ধারেকাছে অন্য কিছু নেই। প্রতি পর্বে যদি কোনো রেডিও কল রেকর্ড ফাঁস করে শোনাত, সেই রেডিও হতো এক নম্বর।

কীভাবে বিজ্ঞাপনটা হবে, সেটাও জনস্বার্থে আমি বলে দিচ্ছি। ‘সাপোজ ধরেন ফর এক্সাম্পল’, দুজন আলোচিত সেলিব্রিটির কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে, কথা চলছে...

টুট টুট টুট (রিং হচ্ছে। অন্য কিছু ভাববেন না আবার!)

: হ্যালো...

: তোমারে ফোন দিলাম, ধরলা না তো!

: ভাই, আসলে আপনি ফোন দিসিলেন...কীভাবে যেন মিস হয়ে গেছে। খেয়াল করি নাই। পরে যখন খেয়াল করসি, তখন অনেক রাত।

: ধুর মিয়া। তোমার ফোনে মিসড কল অ্যালার্ট নাই? মাইপিপি অ্যাপ থেকে খুব সহজেই তো মিসড কল অ্যালার্ট অ্যাকটিভ করে নিতে পারো!

: জি, ভাই।

কিংবা

: হ্যালো...

: আসো না!

: কীভাবে আসব?

: কীভাবে আসবা মানে? কুবেরে আসবা। আমার নাম লিখে ফিফটি ফাইভ, মানে আমার বয়স লিখলেই কুবের রাইডে পাবা ৫৫% ডিসকাউন্ট। তাড়াতাড়ি আসো।

কোলাজ: একটু থামুন

এ ছাড়া যদি ডিরেক্ট মেসেজ দিতে চান, তাহলে দুই তারকার (ধরা যাক একজনের নাম তালেব, আরেকজনের নাম শামসু) কল রেকর্ড ফাঁস করে দিন। অনেকটা এ রকম...

তালেব: কী ব্যাপার শামসু, এত রাতে?

শামসু: এই তো ভাই। একটা জরুরি কথা বলতে ফোন করলাম।

তালেব: কী কথা?

শামসু: ওই যে, টিকাশে খরচ কমসে।