২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসেছিল বাংলাদেশে। সেবার প্রথম দুটি ম্যাচ জিতলেও হংকংয়ের কাছে হেরে ভরাডুবির শুরু হয়েছিল আমাদের। পরে লাগাতার পরাজয়ের কারণে সেবারের বিশ্বকাপ হয়ে আছে ভয়াবহ এক স্মৃতির আসর। সে সময় প্রকাশিত হতো প্রথম আলোর রম্য ক্রোড়পত্র ‘রস+আলো’। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ কীভাবে ভালো করতে পারে? এ প্রশ্ন রাখা হয়েছিল রস+আলোর পাঠকের কাছে। ৭ বছর আগে পাঠক যা বলেছিলেন, তা আজও অনেকাংশে সমকালীন কিংবা যুতসই। কেবল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নয়, কিছু দর্শকের আচরণও ছিল একইরকম। এবার বাংলাদেশ–পাকিস্তান ম্যাচে যেমন কিছু বাংলাদেশি দর্শক পাকিস্তানের জার্সি পরে গ্যালারিতে পাকিস্তানের পতাকা উড়িয়ে উল্লাস করল, ২০১৪ সালেও দেখা গিয়েছিল একই দৃশ্য। এ বিষয়েও রস+আলোর সে সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল একটি কার্টুন। তাই রস+আলোর পুরোনো সংখ্যা থেকে পাঠকের মন্তব্য ও সেই কার্টুনটি এখানে প্রকাশ করা হলো। পড়ে দেখতে পারেন। তারপর ভেবে দেখতে পারেন, আমরা কতটা এগোলাম...
টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দল যেভাবে ভালো করতে পারে
১.
মাঠে যে দলের সমর্থক বেশি হবে, তাদেরই জয়ী বলে ঘোষণা করার নিয়ম করতে হবে।সাইদ আলম
২.
টি-টোয়েন্টিতে এমনিই ভালো করবে। কারণ, বাংলাদেশ তো সব সময় ৪৯তম ওভারে হারে। আর টি-টোয়েন্টিতে ৪৯তম ওভার নেই!সাদিফ প্রিন্স
৩.
বাংলাদেশের ম্যাচে কোনো আম্পায়ার থাকবে না। সব ডিসিশন গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের চিৎকার, অর্থাৎ কণ্ঠভোটের ওপর বিবেচনা করে নেওয়া হবে।তারেকুর রহমান
৪.
আমাদের ক্রিকেটাররা কিন্তু রক্ত-মাংসের মানুষ, আফ্রিদি-গেইলদের মতো ‘ওয়াইল্ড’ না। তাই খেলাটা যাতে ‘ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড’ না হয়ে ‘ম্যান ভার্সেস ম্যান’ হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।আশিকুল করিম
৫.
বর্তমান খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়ে বাংলাদেশ দলের কঠোর সমালোচকদের মাঠে নামিয়ে দিয়ে একটা চেষ্টা করা যায়।সাদিয়া মেহজাবিন তাসনিম
৬.
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ইদানীং ধৈর্যের অভাব দেখা যাচ্ছে, তাই তাদের পাবলিক টয়লেটের সামনে প্রতিদিন ভোরে বদনা হাতে লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা যেতে পারে। তাহলে তারা বুঝতে পারবে ধৈর্য কাকে বলে।আলমগীর আকন্দ
৭.
চুম্বকের তৈরি বল লাগবে। যখন বাংলাদেশ খেলবে তখন মাঠের চারপাশে শক্তিশালী চুম্বক দিয়ে ঘিরে রাখতে হবে। তাহলে বল উড়ে উড়ে মাঠের বাইরে চলে যাবে। আর অন্য দল যখন খেলবে চুম্বকগুলোর মুখ ঘুরিয়ে দিলেই হবে।বিশ্বজিৎ রায়