মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জীবনকে উপভোগ করতে পারে কজন! অনেকেই আছে নিশ্চয়ই। আপনার আশপাশেই তাকিয়ে দেখুন। এমনও তো আছে, কেউ হয়তো মরণব্যাধি শরীরে নিয়ে ঘুরছেন। আর কত দিন বাঁচবেন, তা–ও হয়তো জানেন। অথচ কী দারুণ প্রাণবন্ত। জীবনের প্রতিটা মুহূর্তকে উদ্যাপন করছেন তারিয়ে তারিয়ে। যেন কিচ্ছু হয়নি। কিংবা যখন আসবে ডাক, তখন না হয় দেখা যাবে। অন্তত আজকের দিনটি তো বাঁচি।
হ্যাঁ, এই আজকের দিনটিতেই বাঁচতে পারি না আমরা। কেউ হয়তো বাস করি অতীতে, কেউ হয়তো অনাগত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে থাকি। কোন ফাঁকে টুপ করে বর্তমানটা চলে যায়। অথচ এই বর্তমানটাই তো সত্যি। ঠিক এই মুহূর্ত, এই ক্ষণ, এই সময়; যা-ই বলি না কেন।
আমেরিকান তরুণী জুভেট ফ্রানসিনো তাঁর বন্ধু ক্রেইগ ডানহ্যামের জীবনযুদ্ধটা দেখেছিলেন খুব কাছ থেকে। এলএএস বা লো গেহরিক নামের মরণব্যাধির সঙ্গে লড়ছিলেন ডানহ্যাম, যে রোগের পরিণতি অনিবার্য মৃত্যু। সব জেনেও কী ভীষণভাবেই না তিনি বেঁচেছিলেন। বাঁচার আনন্দে বাঁচা। বন্ধুর এই জীবনানন্দ দেখে খুবই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন ফ্রানসিনো। বন্ধুর প্রতি সম্মান জানাতে ২০১৪ সালে তিনি চালু করেন ‘কারপে ডিয়েম’ নামের একটি দিবস, ল্যাটিন এই কথাটিকেই ইংরেজিতে বলে ‘সিজ দ্য ডে’।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি, কারপে ডিয়েম ডে, সংক্ষেপে সিডি ডে। এই সিডি কেবল ‘কারপে ডিয়েম’ শব্দদ্বয়ের আদ্যক্ষর নয়, বরং ক্রেইগ ডানহ্যামের নামেরও আদ্যক্ষর।
তাহলে অতীত থাক অতীতের খাঁচায় বন্দী। অনাগত দিন অপেক্ষায় থাক। আমরা বরং এই মুহূর্তে বাঁচি। কী হয়েছে আর কী হবে, সেসব না ভেবে একটা গভীর শ্বাস নিন। বিশেষ কিছু একটা করুন আজকে।
ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে