কে গায়
মিলু–ঝিলু দুই বোন। মিলু বড়। ওর আবার গানের শখ।
রোজ সকালে হারমোনিয়াম বাজিয়ে রেওয়াজ করে মিলু।
তবে মিলু যখন রেওয়াজ করতে শুরু করে ঝিলু বারান্দায় চলে যায়। রোজ রোজ এমনটা দেখে মিলু বলল, ‘আচ্ছা, আমি যখন গান করি তখন তুই বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকিস কেন?’
ঝিলু বলল, ‘আমি যে গান গাচ্ছি না, সেটা অন্যদের বোঝানোর জন্য।’
একটা হবে
ঘণ্টাখানেক ধরে পুকুরপাড়ে ছিপ ফেলে বসে আছে রবিন।
ওর ছোট ভাই মুবিন এসে বলল, ‘ভাইয়া, মাছ পেলে?’
রবিন খেপে গেল, ‘এখান থেকে ভাগ তো!’ মুবিন চলে গেল।
ফিরে এল আরও ঘণ্টাখানেক পর, ‘ভাইয়া, মা বলল, তুমি কয়টা মাছ ধরেছ, তা বলতে।’
এবারও খেপে গেল রবিন, ‘মাকে গিয়ে বল, পরের মাছটা ধরতে পারলে একটা হবে।’
যন্ত্রের ব্যথা
ওজন মাপার যন্ত্রটার সামনে অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে কী যেন ভাবছিল ছোট্ট জিতু।
ওর বড় বোন মিতু এসে বলল, ‘কী দেখছিস এত মনযোগ দিয়ে?’
জিতু বলল, ‘এটাতে উঠলে কি মানুষ ব্যথা পায়?’
মিতু টুপ করে যন্ত্রটায় উঠে বলল, ‘কই, কিসের ব্যথা! এটা একেবারেই ব্যথা দেয় না।’
জিতু মাথা নাড়ল, ‘তাহলে মা এটার ওপর দাঁড়িয়েই অমন চিৎকার করে ওঠে কেন?’
এ জগতে নেই
বাবলুকে ফোনে না পেয়ে ওর মায়ের কাছে ফোন করল কাজল—
: হ্যালো আন্টি, বাবলুকে একটু ডেকে দেবেন প্লিজ?
: বাবলু তো এ জগৎ ছেড়ে চলে গেছে।
: হায় হায়! কী বলেন, আন্টি! বাবলু...মানে...বাবলু মারা গেছে?
: না রে বাবা, বাবলু কম্পিউটারে গেম খেলতে বসেছে, এই জগতে আর নাই।
কৃপণের কথা
গ্লাস অর্ধেক পানিতে পূর্ণ নাকি অর্ধেক খালি? এই প্রশ্নে একেক জনের উত্তর একেক রকম।
তবে এটা তো জানেন, আশাবাদীরা বলে, ‘গ্লাসটা অর্ধেক পানিতে পূর্ণ।’
নিরাশাবাদীরা বলে, ‘গ্লাসটা অর্ধেক খালি।’ আর কৃপণেরা কী বলে, জানেন?
কৃপণেরা বলে, ‘গ্লাসটা যতটুকু হওয়া উচিত ছিল, তার চেয়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। কী দরকার ছিল এই বাড়তি খরচটুকু করার!’
ধাঁধার বাজি
লাবুকে বোকা পেয়ে ধাঁধা নিয়ে বাজি ধরেছে বিটলু, ‘লাবু, তুই ধাঁধা ধরবি, আমি উত্তর দেব। তারপর আমি ধরব, তুই উত্তর দিবি। উত্তর দিতে না পারলে আমাকে ৫০ টাকা করে দিবি, আমি না পারলে দেব এক শ টাকা।’
লাবু বলল, ‘ঠিক আছে। তা বল তো, কোন প্রাণীর তিনটা পা আছে এবং আকাশে উড়তে পারে?’
বিটলু লাবুকে এক শ টাকা দিয়ে বলল, ‘পারছি না। উত্তরটা বলে দে।’
লাবু এক শ টাকা নিয়ে ৫০ টাকা ফিরিয়ে দিয়ে বলল, ‘উত্তরটা আমিও জানি না!’