১.
জেরিন গেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে। ঘুরতে ঘুরতে বান্ধবী তমার সঙ্গে দেখা। কথায় কথায় তমা খেয়াল করলেন, জেরিনের ব্যাগে একটা রাউটার।
তমা জিজ্ঞেস করলেন, ‘রাউটার কিনেছিস তো প্যাকেট দেয়নি?’ জেরিন বললেন, ‘আরে না, এটা বাসার রাউটার।’
তমা বললেন, ‘ঠিক করতে এনেছিলি?’
জেরিন মুখ শক্ত করে বললেন, ‘না না, তা–ও না। ছেলেমেয়েদের বলেছিলাম, আমার সঙ্গে বাজারে চল। না, তারা আসবেন না; ফোনে মাথা গুঁজে থাকবেন। শেষমেশ রাউটারটাই খুলে নিয়ে এলাম।’
২.
ছোট্ট জিতু মায়ের সঙ্গে গেছে মার্কেটে। ঘুরতে ঘুরতে এক লোকের হাত ধরে বিলু বলল, ‘এই যে আঙ্কেল, একটু শুনবেন?’
লোকটা বলল, ‘হ্যাঁ, বলো।’
বিলু বলল, ‘আমার মাকে হারিয়ে ফেলেছি। আমি কি আপনার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলতে পারি?’
লোকটা অবাক, ‘হায় হায়! মাকে হারিয়ে ফেলেছ তো আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইছ কেন?’
বিলু বলল, ‘না মানে… যখনই কোনো অপরিচিত লোকের সঙ্গে কথা বলতে নিই, তখনই কোথা থেকে যেন আমার মা এসে হাজির হয়!’
৩.
এক সাদাসিধে কৃষকের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গেেলন এক গোয়েন্দা।
কৃষক বললেন, ‘স্যার, তল্লাশি করতে চান, করুন। দয়া করে বাড়ির উত্তর দিকের মাঠটাতে যাবেন না।’
কৃষকের নাকের ডগায় পরিচয়পত্রটা ঝুলিয়ে গোয়েন্দা বললেন, ‘এটা চেনো? আমি গোয়েন্দা! আমার কাজে বাধা দিতে এসো না!’
ঝাড়ি খেয়ে আর কিছু বললেন না কৃষক। কিছুক্ষণ পর উত্তর দিকের মাঠ থেকে গোয়েন্দার চিৎকার শোনা গেল, ‘বাঁচাও! বাঁচাও!’
কৃষক ছুটে গিয়ে দেখেন, তাঁর দুরন্ত ষাঁড়টা গোয়েন্দাকে তাড়া করছে। দূর থেকে কৃষক বললেন, ‘স্যার, ওকে আপনার পরিচয়পত্রটা দেখান!’
৪.
ড্রয়িং ক্লাসে শিক্ষার্থীদের পরি আঁকতে দিয়েছেন শিক্ষক।
কিছুক্ষণ পর হেঁটে হেঁটে সবার আঁকা দেখছিলেন তিনি।
একসময় বিল্টুর পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘বিল্টু, দেখি তো, তুমি কী এঁকেছ।’
বিল্টু আঁকার খাতা এগিয়ে দিল। আঁকাটা দেখে শিক্ষক ভুরু কোঁচকালেন, ‘তুমি তিন ডানাওয়ালা পরি কোথায় দেখেছ?’
বিল্টু বলল, ‘স্যার, আপনি কি কখনো দুই ডানাওয়ালা পরি দেখেছেন?’