চামড়ার স্বাভাবিক রং কালো, বাদামি বা ধবধবে সাদা হতে পারে। সাদা রঙের চামড়া রক্তের কারণে লালচে দেখায়। বেশিক্ষণ সূর্যের আলোয় থাকলে চামড়ার রং কিছুটা কালচে হয়ে যায়। মনে হয়, সূর্যের তাপে পুড়ে গেছে। কিন্তু আসলে তা নয়।
সূর্যরশ্মিতে অতিবেগুনি রশ্মি (আলট্রাভায়োলেট রে) থাকে। এর কারণেই চামড়ার রং বদলে যায়। সামান্য রোদে অবশ্য চামড়ার কিছু উপকার হয়, শরীর ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে। কিন্তু বেশি রোদে স্বাস্থে্যর ক্ষতি হয়, এমনকি চামড়ার ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
চামড়ার যেন ক্ষতি না হয়, সেটা দেখে মূলত মেলানোসাইট নামের এক ধরনের কোষ। এখান থেকে তৈরি হয় মেলানিন, যা সূর্যের আলো শুষে নিয়ে শরীরকে রক্ষা করে। কিন্তু বেশি রোদ চামড়ার পরোক্ষ বা সরাসরি ক্ষতি করে এবং ডিএনএর বিকৃতি ঘটায়। এ অবস্থায় শরীর ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় চামড়ার কোষে আরও বেশি পরিমাণে মেলানিন তৈরি করে।
অতিরিক্ত এই মেলানিন অতিবেগুনি রশ্মি দিয়ে জারিত (অক্সিজেনযুক্ত) হয়। এই প্রক্রিয়ায় চামড়া ঘন রং ধারণ করে, যা ধূসর বা কালো দেখায়।
ইউরোপ-আমেরিকায় অনেকে সমুদ্রসৈকতে সূর্যস্নান করে। এর একটি উদ্দেশ্য হলো পরিমিত মাত্রায় সূর্যরশ্মি গায়ে মেখে সাদা চামড়া বাদামি করা। এটা ট্যানিং নামে পরিচিত।