জো নামের একটা ওয়েবসাইটে রবার্ট ডানবার নামের এক অধ্যাপকের গবেষণায় পাওয়া সেরা কৌতুক প্রকাশিত হয়েছে। সেখানকার ১, ২, ৩ নম্বর কৌতুকটা আগে বলে নিই।
১. দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। ভদ্রলোক দরজা খুললেন। দেখলেন, একটা শামুক দরজায়। তিনি শামুকটাকে ছুড়ে মারলেন। তিন বছর পর আবারও দরজায় নক। লোকটা দরজা খুললেন। শামুক বলল, আপনার সমস্যা কী? আপনি আমাকে ছুড়ে মারলেন কেন।
২. আলাউদ্দিনের চেরাগ। তিন বন্ধু ঘষা দিল। দৈত্য এল? হুকুম জানতে চাইল।
১ম বন্ধু: আমাকে মায়ামি পাঠিয়ে দাও।
২য় বন্ধু: আমাকে মালদ্বীপ পাঠিয়ে দাও।
৩য় বন্ধু: আমি বড় একা। আমার দুই বন্ধুকে ফেরত আনো।
৩. বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল। একজন সবচেয়ে সুন্দর আসনে বসে খেলা
দেখছেন। তার পাশের আসনটা ফাঁকা। তাঁকে আরেকজন বললেন, এত সুন্দর সিট কেউ ফাঁকা রাখে?
আসলে এটা আমারই কেনা সিট। আমার বউয়ের জন্য কিনেছিলাম। আমরা সব সময় বিশ্বকাপ ফাইনাল একসঙ্গে দেখি। এবারই প্রথম আমি একা দেখছি। আমার বউয়ের সম্মানে আমি এই সিটের টিকিটটা আর বিক্রি করিনি।
ও হো। আপনি বউকে এত ভালোবাসেন! আপনার কোনো বন্ধুবান্ধবকে হয়তো আনতে পারতেন!
তা–ও পারলাম না। আমার বন্ধুরা সবাই আমার বউকে দাফন–কাফন করতে গেছে।
এই কৌতুকগুলোর একটাও আমার মনের মতো নয়। আমার পড়া সেরা কৌতুকগুলোর মধ্যে আছে:
১. স্তালিনের আমলে একবার ঠিক করা
হলো, কবি পুশকিনের ভাস্কর্য গড়া হবে। পুশকিনের হাতে পুশকিনের কবিতার বই। পর্যালোচনায় মত এল, ব্যাপারটা বেশি ভাববাদী। বরং এটা করা যেতে পারে, পুশকিন স্তালিনের বই পড়ছেন। তা–ই হোক তবে। কিন্তু পরে হুঁশ হলো, পুশকিনের আমলে স্তালিনের কোনো বই ছিল না। তাহলে পাল্টে দাও। স্তালিন বসে পুশকিনের বই পড়ছেন। সেটাই হতে যাচ্ছিল। তখন আবার মত এল, এটাও ভাববাদী। ভুল বার্তা দেবে। তখন চূড়ান্ত করা হলো, পুশকিনের ভাস্কর্যটা হবে এ রকম: স্তালিন বসে স্তালিনের বই পড়ছেন।
২. স্বর্গের দরজায় পিকাসো, আইনস্টাইন আর ট্রাম্প। পিকাসো বললেন, আমি অবশ্যই স্বর্গে যাব, কারণ, আমি পিকাসো। প্রহরী বললেন, আপনিই যে পিকাসো, কোনো প্রমাণ আছে? পিকাসো একটানে কবুতর এঁকে সই করে দিলেন। প্রহরী বললেন, মহামান্য পিকাসো, স্বর্গে আপনাকে স্বাগত। এরপর আইনস্টাইন। তিনি লিখলেন, ই = এমসি স্কয়ার। সাইন করলেন। প্রহরী বললেন, মহামান্য আইনস্টাইন, স্বর্গে আপনার বসবাস সুখের হোক। এরপর এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বললেন, আমি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। আমি কোনো প্রমাণ দেখাতে পারব না। প্রহরী বললেন, জনাব, এর আগে আইনস্টাইন, পিকাসো, তাঁরাও নিজেদের পরিচয় দিয়েই ভেতরে ঢুকেছেন। আপনাকেও তা–ই করতে হবে। ট্রাম্প বললেন, পিকাসো, আইনস্টাইন—এরা আবার কারা?
প্রহরী বললেন, বুঝেছি, বুঝেছি, আপনিই ট্রাম্প। ওয়েলকাম টু হেভেন।
৩. আমেরিকার পুলিশ, ব্রিটিশ পুলিশ আর বাংলাদেশের পুলিশ। প্রশিক্ষণ হচ্ছে। তাদের বলা হলো, বন থেকে হরিণ ধরে আনতে। আমেরিকার পুলিশ স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার করে এক ঘণ্টার মধ্যে হরিণ ধরে আনল। ব্রিটিশ পুলিশ গোয়েন্দা পাঠিয়ে হরিণ আনতে পারল তিন দিন পর। আর বাংলাদেশের পুলিশ সাত দিন পর একটা ছাগল ধরে আনল।
এটা কী এনেছ? এটা তো ছাগল।
খালি রিমান্ডে নিতে দেন। হে নিজেই কইব, হে একটা হরিণ।
এই কৌতুক প্রকাশিত হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া কী হবে, ভয়ে ভয়ে আছি। আমাদের না আবার প্রতিবাদপত্র ছাপাতে হয়। নাকি ডিজিটাল আইনের মামলায় ঝুলে যেতে হয়। দোয়া করবেন ভাই।