'প্রথম আলো'য় প্রথমবার
২০ বছর পার করল দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো। এ সময়ে বিনোদনজগতের অসংখ্য তারকার সংবাদ ছাপা হয়েছে। প্রথম আলোয় প্রথম সংবাদ ছাপা হওয়ার স্মৃতি বলেছেন এই সময় ২০-এর কোঠায় থাকা বেশ কয়েকজন তারকা।
ছবি তুলে যুক্তরাষ্ট্রে বড় বোনকে পাঠিয়েছিলেন মা
সাবিলা নূর, টিভি অভিনেত্রী
আমাকে নিয়ে প্রথম ফিচার করা হয় আনন্দ পাতায়। ‘নতুনের আবাহন’ বলে একটি বিভাগ ছিল, সেখানে। এর আগে নকশা ও অন্যান্য পাতায় মডেল হিসেবে ছবি এসেছিল। কিন্তু আমাকে নিয়ে একটা আস্ত ফিচার ওটাই প্রথম। ২০১৪ সালের ঘটনা। মায়ের খুশি ছিল দেখার মতো। আত্মীয়স্বজনকে ফোন করে জানিয়েছেন। মা পত্রিকার সেই অংশটুকু কাটিং করে রেখেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বড় বোনকে পাঠিয়েছিলেন। একটা হুলুস্থুল ব্যাপার।
বুঝলাম সাড়া পাওয়া কাকে বলে
রোশান, চলচ্চিত্র অভিনেতা
২০১৬ সালের মাঝামাঝি। রক্ত ছবিতে অভিনয়ের জন্য চূড়ান্ত হয়েছি। একটা প্রোগ্রাম হলো। পরদিন সংবাদ ছাপা হলো প্রথম আলোয়। বুঝলাম সাড়া পাওয়া কাকে বলে। অনেক বন্ধুবান্ধব–আত্মীয়স্বজন তখনই জানতে পারে আমি নায়ক হতে যাচ্ছি। সবাই ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছিল। প্রথম আলো এমন একটি পত্রিকা, যেখানে সংবাদ ছাপা হওয়া মানে নিজেকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়া। সেটা আমি সেদিন বুঝেছি।
বিদেশ থেকেও প্রচুর ফোন এসেছিল
প্রীতম হাসান, সংগীতশিল্পী
২০১৬ সালের দিকে ‘আসো মামা হে’ গানটা বের হয়। এটা নিয়ে প্রথম আলোয় প্রথম সংবাদ ছাপা হয়। মনে হলো সব ধরনের মানুষের কাছে আমি পৌঁছে গেছি। আমাদের বাসার দারোয়ান আমাকে বলেন, পত্রিকায় আমার খবরটা পড়েছেন। সেদিনই বুঝি প্রথম আলোর পাঠকপ্রিয়তার শক্তি। বিদেশ থেকেও প্রচুর ফোন আসে। মা খুব খুশি হন। ফেসবুকে সাড়া পাওয়া আর সংবাদপত্রের মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছে যাওয়ার অনুভূতি এক নয়।
লজ্জায় কথা বলতে পারছিলাম না
ঐশী, সংগীতশিল্পী
২০১২ সালে হৃদয় মিক্সড ৩ অ্যালবামের জন্য ফটোশুট করি আমরা। ওই ফটোশুটের পর প্রথম আলোয় অ্যালবামের সংবাদ ছাপা হয়। এটা আমার জন্য সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা। আমি সারা দিন নিউজটা নিয়ে বারবার দেখেছি। এত ভালো লেগেছিল যে ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। ওই দিন অনেক আত্মীয়স্বজন ফোন করছিল। সবাই খুব প্রশংসা করছিল। আমি লজ্জায় কথা বলতে পারছিলাম না। এখনো সেই কথা মনে হলে দারুণ লাগে। আমি সেদিনের সেই সংবাদসহ সব পত্রিকার সংবাদ কাটিং করে অ্যালবামের মতো করে তুলে রেখেছি। মাঝেমধ্যেই ওটা দেখি।
এটা অনেক বড় ব্যাপার
শাহতাজ, মডেল ও টিভি অভিনেত্রী
আমি তখন বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে নিয়মিত কাজ করি। একটি মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছিলাম ২০১৫ সালে। তখন বিজ্ঞাপনটি বেশ সাড়া ফেলে। তখনই প্রথম আলোয় একটা সংবাদ ছাপা হয়। শুরুতে আমি বুঝিনি। কিন্তু সংবাদটা ছাপা হওয়ার পর বুঝি এটা অনেক বড় ব্যাপার। সবাই ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল। আমার খুব ভালো লেগেছিল।