'নজরুল পুরস্কার' পেলেন দুই গুণী
নজরুলসংগীতে অবদান রাখার জন্য খায়রুল আনাম শাকিল এবং নজরুল বিষয়ে গবেষণায় অবদানের রাখার জন্য রশিদুন নবী ‘নজরুল পুরস্কার ২০১৭’ পেয়েছেন। নজরুল ইনস্টিটিউট প্রবর্তিত এই পুরস্কার গতকাল সোমবার এই দুই গুণী ব্যক্তিত্বের হাতে তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘নজরুল পুরস্কার ২০১৭’ প্রদান, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নজরুল ইনস্টিটিউট। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কবির নাতনি খিলখিল কাজী ও স্বাগত ভাষণ দেন নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক ভূঞা। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নজরুল ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক রেজাউদ্দিন স্ট্যালিন। অতিথিরা নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে প্রকাশিত ১৭ খণ্ডে ‘নজরুল সমগ্র’র মোড়ক উন্মোচন করেন।
জঙ্গিবাদের মোকাবিলায় নজরুলকে প্রাণশক্তি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ একুশ শতকেও অসম বিশ্বায়ন, দারিদ্র্য, বৈষম্য আর আণবিকায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নজরুল এখনো প্রাসঙ্গিক, এখনো তাকে বড় প্রয়োজন।’
খায়রুল আনাম শাকিল নজরুল ইনস্টিটিউটের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এর আগে এই পুরস্কার যারা পেয়েছেন, তাঁরা সবাই গুণী ব্যক্তিত্ব। আর এই গুণী ব্যক্তিদের নামের সঙ্গে আমার নামটি যুক্ত হওয়ায় সম্মানিত বোধ করছি। এই পুরস্কার নজরুল সংগীতের চর্চায় আমাকে আরও বেশি উৎসাহিত করবে।’ রশিদুন নবী বলেন, ‘নজরুল পুরস্কার’ অত্যন্ত গৌরবের।
পদক প্রদান ও আলোচনা শেষে ছিল সাংস্কৃতিক পর্ব। এখানে নজরুলের গান পরিবেশন করেন ইয়াকুব আলী খান, লীনা তাপসী খান, ছন্দা চক্রবর্তী, নার্গিস পারভীন বনি, লুত্ফরন্নাহার পাখি, গোলজার হোসেন ও সুদাম কুমার বিশ্বাস। দলীয় সংগীত পরিবেশন করে নজরুল ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণার্থী ও আজনবী সংগীত একাডেমির শিল্পীরা। আবৃত্তি করেন নায়লা তারান্নুম কাকলী ও কবির পত্র পাঠ করেন স্নিগ্ধা বাউল।
নজরুল ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ১৯৮৫ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে ‘নজরুল পুরস্কার’। প্রতি বছর দুজন শিল্পীকে পুরস্কৃত করা হয়।