'এশিয়ান থিয়েটার সামিট' শুরু
স্বাগতিক বাংলাদেশসহ সাত দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে রাজধানীতে শুরু হয়েছে তিন দিনের ‘এশিয়ান থিয়েটার সামিট’। ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের (আইয়াটা) এশিয়ান রিজওনাল সেন্টারের উদ্যোগে এবং পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে এই সম্মেলন শুরু হয়েছে।
উদ্বোধনী আয়োজনে অংশ নেন নাট্যজন আতাউর রহমান, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, সিঙ্গাপুরের চাইনিজ অপেরা ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চুয়া সু পং, জাপানের অধ্যাপক ইয়াসু নাগাটা, হংকংয়ের চান কাম কুয়েন, চীনের চেন ইয়া জিন ও কোয়াও জিংপিং, ভারতের রবিজিতা গোগোই, ফিলিপাইনের অধ্যাপক জিমি ফং এবং ঢাকাস্থ ইরানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কাজেম কাহ্দাহি।
অতিথিরা বলেন, যেকোনো অশুভ শক্তির বিপরীতে মঞ্চনাটক একটি শক্তিশালী অস্ত্র। অবিবেচকদের অমানবিক কর্মকাণ্ডের বিপরীতে মঞ্চনাটককে আরও বেশি শক্তিশালী করতে হবে। সময়ের প্রেক্ষাপটে এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর নাট্যদলগুলোর মধ্যে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি করতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শুরুতেই বাঁশিতে সুরের মূর্ছনা পরিবেশন করেন শিল্পী মনিরুজ্জামান। এরপর ছিল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিল্পীদের নাচ। সবশেষে ‘মঙ্গল হোক এই শতকে’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীরা।
উদ্বোধন শেষ দিনভর নানা অধিবেশনে নিজ নিজ দেশের নাট্যচর্চার ইতিহাস ও বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেন সিঙ্গাপুরের চুয়া সু পং, জাপানের অধ্যাপক ইয়াসু নাগাটা, হংকংয়ের চান কাম কুয়েন, চীনের চেন ইয়া জিন ও কোয়াও জিংপিং, ভারতের রবিজিতা গোগোই এবং ফিলিপাইনের অধ্যাপক জিমি ফং।
আজ শনিবার বিদেশি অতিথিরা বেরিয়েছেন ঢাকা শহরের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী এবং মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি বহনকারী স্থানগুলো দেখতে।