'আয়নাবাজি' ফাঁস-এ উকিল নোটিশ
‘আয়নাবাজি’ ছবি ফাঁস হওয়ার ১৫ দিনের মাথায় মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কনটেন্ট ম্যাটার্স লিমিটেড। ৬ নভেম্বর আইনজীবী হাসান এম এস আজিমের স্বাক্ষরে প্রতিষ্ঠানটির কাছে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ‘আয়নাবাজি’ ছবির প্রযোজক ও অভিনেতা গাউসুল আলম শাওন।
‘আয়নাবাজি’ ছবিটি মুক্তির ২০ দিনের মাথায় মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবির টেলিভিশন প্ল্যাটফর্মে ছবিটি আপলোড করা হয়। এরপর সেখান থেকে ছবিটি পাইরেসি হয়ে ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মুঠোফোন থেকে মুঠোফোনে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলো। অমিতাভ রেজা পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ ছবির সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আছে রবি ও আরটিভি।
উকিল নোটিশ পাঠানোর ব্যাপারে শাওন বলেন, ‘এটা কোনোভাবেই মোবাইল থেকে মোবাইলে নেওয়া নয়। যেভাবে ফাঁস হয়েছে, তাতে স্পষ্টভাবে রবির লোগো আছে। তাই ফাঁস হওয়ার ব্যাপারটি প্রতিষ্ঠানটি কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। আমাদের তারা ডিজিটাল যে সুরক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছিল, তা তারা একেবারেই দিতে পারেনি। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে, আমরা নাকি ৪০ লাখ টাকার বিনিময়ে ছবিটি রবির কাছে দিয়েছিলাম। এটা পুরোপুরি মিথ্যা। রবির সঙ্গে আমাদের কথা ছিল, যখন ছবিটি তারা চালাবে, তখন যে টাকা আসবে, সেই রেভিনিউ আমরা ভাগাভাগি করব। আরেকটা কথা, এই বিষয়টি নিয়ে আজ পর্যন্ত রবি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো পরিষ্কার বক্তব্য দেয়নি। তাই চুক্তি ভঙ্গের কারণে আমরা আইনি পদক্ষেপ নিলাম।’
অমিতাভ রেজা বলেন, ‘আমার ছবিটি ফাঁস হয়ে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা তো পূরণ করা সম্ভব নয়। সমাজ ও দর্শকের কাছে যে অপমানিত হয়েছি, এটার তো ক্ষতিপূরণ নাই। ভবিষ্যতে অন্য নির্মাতারা তাঁদের সৃষ্টিশীল কাজের সঠিক সুরক্ষা নিশ্চিতভাবে পেলে তাতেই আমি সন্তুষ্ট হব।’
এদিকে যোগাযোগ করা হলে রবির পক্ষ থেকে ইকরাম কবীর বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত কোনো উকিল নোটিশ পাইনি। আমাদের বিরুদ্ধে তো কোনো ধরনের নোটিশ পাঠানোর কথাও না। কারণ, আমরা ছবিটি যে ফাঁস হয়েছে, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে নানাভাবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করেছি।’