সুন্দরীদের সঙ্গে চীনের রাস্তায় জেসিয়া
চীনের শিমেলং ওশান এলাকার তিন কিলোমিটার রাস্তা হেঁটেছেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ জেসিয়া ইসলাম। এ সময় তাঁর পরনে ছিল পাহাড়িদের তৈরি থামি। অন্য প্রতিযোগীরা পরেছিলেন তাঁদের দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। ‘৬৭তম মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ১২০ জন প্রতিযোগীকে মহাদেশ অনুযায়ী বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করা হয়। রঙিন আর ঝলমলে এই প্যারেড দেখতে রাস্তার দুই ধারে জড়ো হন হাজারো দর্শক। প্যারেডে গানের তালে প্রতিযোগীরা মনের আনন্দে যে যাঁর মতো করে নেচেছেন।
২ নভেম্বর বিকেলে আয়োজিত এই প্যারেডের অন্যতম আকর্ষণ ছিল শিমেলং সার্কাস। প্রতিযোগীরা শিমেলং অ্যাকোয়ারিয়াম ঘুরে দেখেন। এখানে রয়েছে ছয়টি হাঙর আর বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য মাছ। সকালে ছিল মাল্টিমিডিয়া সেগমেন্ট। এখানে বিভিন্ন সৃজনশীল ছবি আপলোড করতে প্রতিযোগীদের উৎসাহ দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় হোটেলে ফিরে ফাইনালের জন্য মহড়ায় অংশ নেন জেসিয়া।
গত ২৯ অক্টোবর হুয়াংশানের পাহাড়ি এলাকা ইয়েলো মাউন্টেনে ৬৭তম মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মিস ওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান জুলিয়া মোরলে। সঙ্গে ছিলেন হুয়াংশানের মেয়র ডেভিড লি।
১৮ নভেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় চীনের সানাইয়া শহরে শুরু হবে ৬৭তম মিস ওয়ার্ল্ডের চূড়ান্ত অনুষ্ঠান। আড়াই ঘণ্টার এ অনুষ্ঠান ডিজাইন করছে বেইজিং রাইজ। উপস্থাপনা করবেন টিম ভিনসেন্ট, মেগান ইয়ং ও স্টিভ ডগলাস। নতুন মিস ওয়ার্ল্ডকে মুকুট পরিয়ে দেবেন বর্তমান বিশ্বসুন্দরী স্টেফানি দেল ভালে। চীনের সানাইয়া সিটি এরেনায় ৬৭তম মিস ওয়ার্ল্ড চূড়ান্ত অনুষ্ঠানের মঞ্চকে ঘিরে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পর ১৯ নভেম্বর দেশে ফিরবেন জেসিয়া ইসলাম।