পাঁচ নির্মাতা পাচ্ছেন ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা
পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের জন্য পাঁচ নির্মাতাকে অনুদান দিচ্ছে সরকার। এবার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সরকারের কাছ থেকে অনুদান পাচ্ছেন গাজী রাকায়েত, সাইদুল আনাম টুটুল ও হাবিবুর রহমান। এ ছাড়া শিশুতোষ চলচ্চিত্রের জন্য মানিক মানবিক আর প্রামাণ্যচিত্রের জন্য পাচ্ছেন আবিদ হোসেন খান। চারটি চলচ্চিত্রের জন্য প্রত্যেক নির্মাতা পাবেন ৬০ লাখ টাকা আর প্রামাণ্যচিত্রের জন্য দেওয়া হবে ৪০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে এবার পাঁচজন নির্মাতা অনুদান হিসেবে পাচ্ছেন ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আজহারুল হক। তিনি জানান, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি’ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য এই নির্মাতাদের পাঁচটি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়ার জন্য নির্বাচন করেছে। আজ বৃহস্পতিবার নির্মাতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তির পর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জনসাধারণের জন্য খবরটি জানিয়ে দেওয়া হবে।
এবার গাজী রাকায়েত ‘গোর’, সাইদুল আনাম টুটুল ‘কালবেলা’, মানিক মানবিক ‘আজব ছেলে’, হাবিবুর রহমান ‘অলাতচক্র’ আর আবিদ হোসেন খান প্রামাণ্যচিত্র ‘অবলম্বন’-এর জন্য অনুদান পাবেন। ‘অবলম্বন’ প্রামাণ্যচিত্রটির প্রযোজনা করবেন রুবাইয়াত হোসেন। ‘অলাতচক্র’ ছবিটির প্রযোজক রহিমা বেগম। বাকি চলচ্চিত্রগুলোর প্রযোজনা করবেন পরিচালক নিজেই।
জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকারি অনুদান দেওয়ার ব্যাপারে ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি’ যে বিষয়গুলো বিবেচনা করেছে, তার মধ্যে রয়েছে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মানবীয় মূল্যবোধসম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ প্রস্তাব। সবকিছু বিবেচনা করে এই পাঁচজন নির্মাতাকে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চলচ্চিত্রশিল্প উন্নয়নে আর্থিক অনুদানের ইতিবাচক ভূমিকা আছে। চারটি ছবিকে আড়াই লাখ টাকা অনুদান দিয়ে ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর থেকে দেশীয় চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদানের প্রথা চালু হয়। অনুদান পাওয়া ছবি বাদল রহমানের ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’, শেখ নিয়ামত আলী ও মসিহ্উদ্দিন শাকেরের ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’, মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানের ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’, হুমায়ূন আহমেদের ‘আগুনের পরশমণি’, চাষী নজরুল ইসলামের ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, মোরশেদুল ইসলামের ‘দীপু নাম্বার টু’সহ বেশ কিছু ছবি আলোচিত হয়েছিল। কোনোটি বাণিজ্যিকভাবে সফলও হয়েছিল।