ডিপজলের 'বহিষ্কার' অসুন্দর
‘যাঁরা শিল্পী সমিতির বনভোজনে আসবে না, সমিতির উচিত তাদের বহিষ্কার করা।’ ডিপজলের এ বক্তব্যকে অসুন্দর বলে মনে করেন অভিনেতা সোহেল রানা। উন্মুক্ত আয়োজনে ডিপজলের এমন মন্তব্য দুঃখজনক, প্রথম আলোকে আজ রোববার দুপুরে এ রকমই বলেছেন তিনি।
গতকাল শনিবার ঢাকার অদূরের অবকাশযাপন কেন্দ্র মেঘবাড়িতে ছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বনভোজন। তবে সেখানে শিল্পীদের উপস্থিতি ছিল কম। বক্তব্য দিতে এসে কম উপস্থিতি প্রসঙ্গে খলনায়ক ডিপজল ওই মন্তব্যটি করেন। মঞ্চে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাভেদ, আনোয়ারা, সোহেল রানা, ফারুক, উজ্জ্বল, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, রুবেল, মিশা সওদাগর, শাহনূর, অপু বিশ্বাস, ইমন, অনন্ত জলিল, বর্ষা প্রমুখ। ডিপজল বলেন, ‘শিল্পী সমিতির আয়োজন সুন্দর হয়েছে। কিন্তু কিছু বিষয় অসুন্দর। ভবিষ্যতে যে অসুন্দরগুলো এ আয়োজনে আসবে না, আমি মনে করি শিল্পী সমিতির উচিত তাঁদের বহিষ্কার করা। তাহলেই শিল্পীরা একত্র হবে। এখানে কেন বিবাদ থাকবে? আগামী পিকনিকে বিবাদ নিয়ে কোনো আলোচনা করতে চাই না। সবার উপস্থিতি চাই এবং অবশ্যই উপস্থিত হতে হবে।’
এ কথার প্রেক্ষিতে সোহেল রানা বলেন, ‘আনন্দ করে বলাটা এক জিনিস। যতই আনন্দ করে বলুক, এই ধরনের কথা বলার জন্য ওই জায়গাটা মোটেও উপযুক্ত নয়। এটা যদি শিল্পী সমিতির ঘরোয়া কোনো সভা হতো, তিনি হয়তো সেখানে কথাটা বলতে পারতেন। এই ধরনের অনুষ্ঠানে এমন কথা বলা সম্পূর্ণ অনুচিত এবং এতে শিল্পীদের ছোট করা হয়েছে। শিল্পী সমিতির অনুষ্ঠানে নানা জায়গার লোকজন আমন্ত্রিত ছিলেন। সবার সামনে এ ধরনের কথা বলা অসুন্দরও। বনভোজনে অনেক শিল্পীরা ছিলেন না। এটা আমার খারাপ লেগেছে। অনেকেই আসতে পারেননি। কেন আসতে পারেননি বা আসেননি তা আমাদের বোঝার চেষ্টা করতে হবে।’
সোহেল রানা আরও বলেন, ‘চলচ্চিত্রে আমরা যাঁরা সিনিয়র, আমাদের মধ্যে কি মান-অভিমান, প্রতিযোগিতা ছিল না? কিন্তু কখনোই তা মানুষকে বুঝতে দিইনি। দেশের মানুষ মনে করবে, আমরা মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত খুব সুন্দর দিন কাটিয়েছি। শিল্পীরা সাধারণ মানুষকে এই ইম্প্রেশন দেবে? কিন্তু এখন যাঁরা নানা ধরনের দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জড়ায়, তাঁরা আদৌ শিল্পী কী না, এ নিয়ে সন্দেহ আছে। শিল্পী হওয়া এত সহজ না।’
এ দিকে বিষয়টি নিয়ে ডিপজলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি জানান, এ নিয়ে আগামীকাল দুপুর দুইটার পর কথা বলতে পারবেন। কথা প্রসঙ্গে সোহেল রানা মজা করে বলেন, ‘ডিপজল কিন্তু সিনেমায় ভালোই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। চলচ্চিত্রে কী সব আজেবাজে সংলাপ আবিষ্কার করেছে।’