জানা-অজানা অড্রে হেপবার্ন - প্রথম পর্ব

>

সৌন্দর্য, সৌষ্ঠব, লাবণ্যের প্রতিমূর্তি তিনি। জাদুকরি মুখশ্রী দিয়ে ঘায়েল করেছেন কোটি তরুণ হৃদয়। তিনি অড্রে হেপবার্ন, ২০ শতকের হলিউডের বিশুদ্ধ প্রতিমা। তাঁর অভিনয় অসাধারণ করেছে ‘ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফানিস’, ‘শ্যারেড’, ‘দ্য চিলড্রেন্স আওয়ার’, ‘প্যারিস হোয়েন ইট সিজলস’, ‘দ্য নানস স্টোরি’, ‘ফানি ফেস’, ‘হাউ টু স্টিল আ মিলিয়ন’, ‘মাই ফেয়ার লেডি’র মতো ছবিকে। এক ‘রোমান হলিডে’র জন্যই আলাদা করে মনে রাখতে হবে তাঁকে। আজ তাঁর ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। চলুন, দুই পর্বে জেনে নিই তাঁর সম্পর্কে ভিন্ন রকম কিছু তথ্য।

অড্রে হেপবার্ন
অড্রে হেপবার্ন

আসল নাম অড্রে হেপবার্ন নয়
১৯২৯ সালে ৪ মে জন্মগ্রহণের পর মা-বাবা তাঁর নাম রেখেছিলেন অড্রে ক্যাথলিন রুস্টন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি ছদ্মনাম নেন এডা ভন হেমেস্ট্রা। একটি ইংরেজি নাম সে সময় ছিল বিপজ্জনক। পরে যখন অড্রে ছবির দুনিয়ায় আসেন, পরিচিতি পান অড্রে হেপবার্ন নামে।
সর্বকালের সেরা অভিনেত্রীর তালিকায়
আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট সর্বকালের সেরা অভিনেত্রীদের একটি তালিকা করেছিল। তাতে তৃতীয় স্থান দখল করে আছেন অড্রে হেপবার্ন। প্রথম ক্যাথরিন হেপবার্ন, দ্বিতীয় বেটি ডেভিস। অড্রের পরে আছেন ইনগ্রিড বার্গম্যান, গ্রেটা গার্বো, মেরিলিন মনরো, এলিজাবেথ টেলরেরা।

আলোর ঝলকানি থেকে দূরে

সেলিব্রিটি মানেই তাঁকে হতে হবে সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে। হতে হবে আলোচনার মধ্যমণি। তিনি যেখানে, স্পটলাইটও সেখানে। ভক্ত ও পারিষদ দিয়ে ঘেরা। কিন্তু অড্রে হেপবার্ন ছিলেন ব্যতিক্রম। একা থাকতে ভালোবাসতেন। ‘অন্তর্মুখী’ হওয়ার দুর্নামও লাগিয়েছেন গায়ে। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমাকে প্রায়ই একা থাকতে হবে। আমি খুব খুশি হব, যদি শনিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বাসায় একা থাকি। এভাবেই আমি উজ্জীবিত হই।’
সেরা চার পুরস্কারজয়ী
অড্রে হেপবার্ন সেই সৌভাগ্যবান তালিকার একজন, যিনি একই সঙ্গে সর্বোচ্চ সম্মানজনক চারটি পুরস্কার—এমি, গ্র্যামি, অস্কার ও টনি জিতেছেন। তিনি ছাড়া আর মাত্র ১১ জন এ সম্মান পেয়েছেন। ‘রোমান হলিডে’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য অস্কার পেয়েছিলেন অড্রে। ‘গার্ডেন অব দ্য ওয়ার্ল্ড উইথ অড্রে হেপবার্ন’ টেলিভিশন অনুষ্ঠান উপস্থাপনার জন্য পেয়েছিলেন এমি পুরস্কার। ‘অড্রে হেপবার্ন এনচ্যানটেড টেলস’ অ্যালবামে শিশুদের জন্য গল্প বলেছিলেন অড্রে, এটি দিয়েই পেলেন গ্র্যামি পুরস্কার। ফরাসি নাটক ‘অনজিনা’তে অভিনয় করে পেয়েছেন টনি পুরস্কার।
তাঁর নামে তিন ফুল ও এক রাস্তা
তিন রকম টিউলিপ, লিলি ও গোলাপের নামকরণ হয় অড্রে হেপবার্নের নামে। তাঁর নামে ১৯৫৯ সালে হলিউডের খুব কাছে লাস ভেগাসে একটি রাস্তার নাম রাখা হয়। তখন পর্যন্ত কোনো অভিনেত্রীর নামে রাস্তার নামকরণ এই প্রথম।