চমক দেখালেন মিশা সওদাগর, নিজেই পড়ালেন শপথ
শপথ অনুষ্ঠানের আর মাত্র দুই ঘণ্টা বাকি ছিল। চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির আপিল বিভাগের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান তখনো জানাতে রাজি নন কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। তখনই বোঝা গেল শপথ অনুষ্ঠানে চমক রয়েছে।
ঠিক সাড়ে পাঁচটার পরে বেরিয়ে এলেন খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। তিনি ছিলেন শিল্পী সমিতির শপথ অনুষ্ঠানের চমক।
মিশা-জায়েদ প্যানেলের সভাপতি পদে পরাজিত সাবেক সভাপতি মিশা সওদাগর সদ্য জয়ী সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে শপথবাক্য পাঠ করান। এই সময়ে চারপাশে শোরগোল পড়ে যায়। অনেকে মিশা সওদাগরের উপস্থিতিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। করতালি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান সহকর্মীরা।
মিশা তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। বিশেষ করে যাঁরা আজ বিজয়ী হয়েছেন, তাঁদের জন্য শুভকামনা। আমি বরাবরই বলে থাকি শিল্পী সমিতির নির্বাচন মানে পালাবদলের পালা। আমাদের সদস্যবৃন্দ যাঁকে রায় দেবেন, তাঁর গলায় মালা দিতে হবে। আমাদের পালাবদলের অনুষ্ঠান হয়ে গেছে।’
এই সময় তিনি উপস্থিত সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘পেছনের দিকে কী ঘটেছে, সেদিকে আমরা না তাকাই। পেছনে কী ঘটেছে, সেদিকে তাকাব না। আমরা আজ থেকে ভবিষ্যতে কীভাবে সুন্দর সমৃদ্ধ শিল্পী সমিতি গড়ে তোলা যায়, সেদিকে লক্ষ করব। সেই ব্যবস্থা আমরাই করব। এবার সভাপতি হয়েছেন আমাদের প্রাণপ্রিয় ইলিয়াস কাঞ্চন। আপনাকে অনুরোধ করব সবাইকে নিয়ে এমন কাজ করবেন, এমন দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করবেন, যা আগে হয়নি। সবার মধ্যে কোনো বাধা যেন না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। আমি বিশ্বাস করি, আপনি আলোকিত মানুষ। আপনার আলোয় সমগ্র শিল্পী সমাজ আলোকিত হবে। সেই বিশ্বাস আমার আছে।’
চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির এই শপথ অনুষ্ঠানে মিশা-জায়েদ প্যানেলের কেউ থাকার কথা ছিল না। সেটা তাঁদের বিজয়ী প্রার্থীরা আগেই জানিয়েছিলেন। সেখানে ব্যতিক্রম ভূমিকায় মিশা সওদাগর ও নাদের খান। এই সময় মিশা আরও বলেন, ‘আজকের এই শপথ অনুষ্ঠানে সবার অংশগ্রহণ থাকলে আমি খুশি হতাম। আমি বিশ্বাস করি, ইলিয়াস কাঞ্চন–নিপুণ প্যানেল দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করবেন।’
শপথ অনুষ্ঠানে ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ প্যানেলের ফেরদৌস, সায়মন সাদিকসহ প্রায় সবাই উপস্থিত ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠান আরও উপস্থিত ছিলেন আলমগীর, সোহানুর রহমান সোহান, খোরশেদ আলম খসরু, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ও দুজন নির্বাচন কমিশনার ও আপিল বিভাগের সদস্যসহ অনেকে।