কীভাবে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে, সেটাই এই সিরিজে প্রকাশিত হয়েছে
বাড়িতে মনিটরের সামনে ‘আয়নাবাজি’খ্যাত নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী। ‘আয়নাবাজি’র আয়না, হৃদি আর সাংবাদিক সাবেরও। ভিডিও কনফারেন্সে সবাইকে পজিশন বুঝিয়ে দিচ্ছেন নির্মাতা। এভাবেই শুরু হয়ে গেছে ‘ঘরে বসে আয়নাবাজি’।
ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে ‘ঘরে বসে আয়নাবাজির’ টিজার। যেখানে দেখা গেছে ভিডিও কনফারেন্সে চরিত্রদের নির্দেশনা দিচ্ছেন অমিতাভ। ক্যামেরা ঠিক করতে বলছেন চঞ্চলকে, মেকআপ কমাতে বলছেন নাবিলাকে। করোনাভাইরাসের সংকটকালে মানুষকে সচেতন করার গল্প নিয়ে দর্শকদের সামনে ফিরছে আয়নাবাজির দলটি। যেখানে অভিনেতা, নির্মাতা এবং কলাকুশলীরা কাজ করেছেন ঘরে বসে। নতুন আঙ্গিকে ওয়েব সিরিজ হয়ে ফিরছে মানুষকে জাগাতে। উন্নয়ন সংস্থ্যা ব্র্যাক এবং অস্ট্রেলিয়ান এইডের সহযোগিতায় শুরু হতে যাচ্ছে সিরিজ, ‘ঘরে বসে আয়নাবাজি’।
নাসিফ ফারুকের গল্পে প্রথম সিরিজের তিনটি পর্বে দেখা যাবে করোনাকালে আয়নাবাজির চরিত্রগুলোর জীবনযাপন। ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে এবং সুরক্ষা বজায় রাখতে করণীয় সম্পর্ক সচেতনতা তৈরি করাই এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য।
ব্র্যাক আয়নাবাজি কোভিড–১৯ সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন সিরিজের নির্মাতা অমিতাভ রেজা বলেন, ‘“আয়নাবাজি” মানুষের মনে গেঁথে রয়েছে। সেই চরিত্রগুলো যেন এবার মানুষকে সচেতন করতে পারে, সেটাই লক্ষ্য।’
প্রযোজক জিয়াউদ্দিন আদিল বলেন, ‘সংস্কৃতির একটা দায়বদ্ধতা থাকে। করোনার এই সংকটের সময়ে আয়নাবাজি চলচ্চিত্রের দলটি সচেতনতা তৈরি দায়বোধ থেকে এ উদ্যোগ নিয়েছে। এতে যুক্ত হওয়ার জন্য ব্র্যাক এবং অস্ট্রেলিয়ান এইডকে ধন্যবাদ।’
ব্র্যাকের অন্যতম পরিচালক মৌটুসি কবির বলেন, ‘যে সংকটের মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি, সেখানে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি। আয়নাবাজির দর্শকপ্রিয় চরিত্রগুলোর মাধ্যমে আরও সহজ আর পরিচিত উপায়ে জনগণের কাছে মানুষের জন্য জরুরি তথ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের এ উদ্যোগ।’
‘ঘরে বসে আয়নাবাজি’ সিরিজে প্রতিটি পর্বের দৈর্ঘ্য ৭ থেকে ৮ মিনিট। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আয়না কীভাবে প্রতিকূলতাকে জয় করে আর সেখানে প্রতিবেশী এবং নিকটজনেরা কীভাবে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে, সেটাই এই সিরিজে প্রকাশিত হয়েছে। এখানেও আয়না চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরীর রহস্যময় অভিনয় মানুষকে মুগ্ধ করবে।