ওশান ড্যান্স ফেস্টিভ্যালের আকর্ষণ

নৃত্যনাট্য বাঁদী–বান্দার রূপকথা অংশ নিচ্ছে ওশান ড্যান্স ফেস্টিভ্যালে
নৃত্যনাট্য বাঁদী–বান্দার রূপকথা অংশ নিচ্ছে ওশান ড্যান্স ফেস্টিভ্যালে

কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে কাল ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক নাচের উৎসব ওশান ড্যান্স ফেস্টিভ্যাল–২০১৯। নৃত্যশিল্পীদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ড্যান্স অ্যালায়েন্স এশিয়া প্যাসিফিক (উডিএ-এপি)-এর বাংলাদেশ শাখা নৃত্যযোগ প্রথমবারের মতো এ আয়োজন করেছে। চার দিনব্যাপী এ উৎসবে এশিয়াসহ বিশ্বের ১৫টি দেশ থেকে যোগ দিচ্ছেন দুই শতাধিক নৃত্যশিল্পী, শিক্ষক, গবেষক ও কোরিওগ্রাফার।

উৎসবের চার দিন ভোর থেকে মারমেইড ইকো রিসোর্টসংলগ্ন সৈকতে চলবে বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন, কর্মশালা, সেমিনার। সন্ধ্যা থেকে কক্স কার্নিভ্যাল মিলনায়তনে থাকবে দুই দফা নৃত্য পরিবেশনা। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসবেন আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচিত শিল্পীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে চলবে জাতীয়ভাবে নির্বাচিত শিল্পীদের পরিবেশনায় লোকনৃত্য, সমসাময়িক নৃত্য, শাস্ত্রীয় নৃত্য ও নৃত্যনাট্য।

বিদেশি শিল্পীদের পরিবেশনা

* তাইওয়ানের নৃত্য প্রযোজনা ‘বাটু উইথ অর্নামেন্ট’, ‘নট অ্যালোন’, ‘ইমপ্রেশনস অব আওয়ার হোম টাউন’, ‘গ্রেটার দ্যান টু লেস দ্যান’।

* যুক্তরাষ্ট্রের ‘ত্রিকোন কানেকটিভিটি’।

* ভারতের ‘এজেস’, ‘ইনট্রানসিট’, ‘আনশেয়ারড ডিজায়ারড’, ‘টাচ দ্য সাউন্ড’।

* কোরিয়ার ‘স্প্রিং কামিং উইথ আ ওয়ার্ম ব্রিজ’।

* চীনের ‘টয়লেট পাম্প’

দেশের শিল্পীদের পরিবেশনা

* অমিত চৌধুরী ও সুইটি দাসের ‘রূপান্তর’

* জুয়েইরিয়াহ মৌলির ‘অর্ধনারীশ্বর’

* শাম্মি আখতারের ‘মাইন’

* আনন্দিতা খানের ‘রিফিউজি’

* মৌমিতা জয়ার ‘রিলিজিয়ন: আ কজ অব কনফ্লিক্ট ইন কালচার’

* আবু নাঈম খানের ‘লালন’

* আরিফুল ইসলাম অর্ণবের ‘মানুষ’

* তাহনুন আহমেদীর ‘আজান’

* মেহরাজ হক তুষারের ‘ট্রাস্ট’

* অলকা দাস প্রান্তি ‘কত্থক টু ওড়িশি’

* বৃষ্টি ব্যাপারি ‘ফ্রেম অব মাইন্ড’

যৌথ পরিবেশনা

* লিথুনিয়া ও ভারতের ‘হ্যাভ উই মেট বিফোর?’

* যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ‘তফাত’।

* ভারত ও বাংলাদেশের ‘কি তা রে বা’ ও ‘আই অ্যান্ড মাইসেলফ’।

* কানাডার সাশার জারিফের সঙ্গে কোরিওল্যাব থেকে নির্মিত হংকং, ভারত ও বাংলাদেশের একটি বিশেষ প্রযোজনা।

নৃত্যনাট্য

কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে নৃত্যনাট্য বাঁদী–বান্দার রূপকথা। সুকল্যাণ ভট্টাচার্যের নৃত্য পরিচালনায় শামীম আরা নীপা, শিবলী মহম্মদসহ এতে নাচ করবেন প্রায় ৮০ জন শিল্পী।

বাংলাদেশের পরিবেশনা

উৎসবে জাতীয়ভাবে নির্বাচিত দলগুলোর মধ্যে রয়েছে সাধনা, নৃত্যাঞ্চল, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, কল্পতরু, ভাবনা, ধৃতি নর্তনালয়, নৃত্যশৈলী, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি। উল্লেখযোগ্য শিল্পীদের মধ্যে রয়েছে লায়লা হাসান, মুনমুন আহমেদ, তামান্না রহমান, রাজদ্বীপ ব্যানার্জি, সাজু আহমেদ, সামিনা হোসেন প্রেমা, ওয়ার্দা রিহাব প্রমুখ শিল্পী ও তাঁদের দলের পরিবেশনা। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলার শিল্পী ও আদিবাসী শিল্পীরাও নাচ করবেন এই উৎসবে।