একসঙ্গে তপন চৌধুরী ও কুমার বিশ্বজিৎ
কুমার বিশ্বজিৎ ও তপন চৌধুরী—দুই শিল্পীই এসেছেন চট্টগ্রাম থেকে। দুজনার শুরুটা বলা যায় প্রায় একই সঙ্গে। বহু বছর আগে আরও অনেক শিল্পীকে নিয়ে তাঁরা একসঙ্গে একটি দেশের গান গেয়েছেন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে। বছর পাঁচেক আগে সন্ধ্যাতারা নামে তাঁদের দুজনার একটি অডিও অ্যালবাম বেরিয়েছিল। তবে এই প্রথম তাঁরা দুজন একসঙ্গে টিভির পর্দায় আসছেন।এবারের ঈদে বিটিভির নিজস্ব ঈদ আয়োজনে এ দুজনকে একসঙ্গে দেখা যাবে কথায় ও গানে কুমার বিশ্বজিৎ ও তপন চৌধুরী নামের অনুষ্ঠানটিতে। ঈদের তৃতীয় দিন প্রচারিতব্য এ অনুষ্ঠানে দুই শিল্পী গল্প, স্মৃতিচারণার ফাঁকে ফাঁকে নিজেদের পছন্দের কিছু গান করবেন। সৈয়দ জামানের প্রযোজনায় এ অনুষ্ঠানে দুই শিল্পীর সঙ্গে সঞ্চালক হিসেবে থাকছেন গীতিকার কবির বকুল।একসঙ্গে অনুষ্ঠানটি করা প্রসঙ্গে শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল, একসঙ্গে কাজ করব। এর আগে আমরা একসঙ্গে একটি অ্যালবামে কাজ করেছি। এই ঈদ উৎসবে একসঙ্গে পর্দায় আসছি, এটা আমার কাছে খুব ভালো লাগছে।’তিনি আরও বলেন, ‘আধুনিক গানের পরিমণ্ডলে তপনদার অবস্থান জ্বলজ্বলে নক্ষত্রের মতো। তাঁর স্বেচ্ছা নির্বাসন আমি মেনে নিতে পারিনি। এখনো তাঁর চাহিদা আছে, তাঁর প্রতি শ্রোতাদের ভালোলাগা, গ্রহণযোগ্যতা আছে। এটা উপেক্ষা করা উচিত নয়। আশা করব, তিনি এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন। তাঁর ফিরে আসাটাকে আমি সাধুবাদ জানাই।’অন্যদিকে তপন চৌধুরী বলেন, ‘এ দেশের মানুষের ভালোবাসা উপেক্ষা করা অসম্ভব। তাই ফিরে ফিরে আসি। হয়তো সন্তানের জন্য আজ প্রবাসী হয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশেই আমার নাড়ির টান। এবার কুমার বিশ্বজিতের সঙ্গে বিটিভির এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে আমারও ভালো লাগছে। কারণ, আমরা দুজনই চট্টগ্রামের ছেলে।’তিনি বলেন, ‘বিশ্বজিৎ সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁর কণ্ঠ, গান নির্বাচন—সবকিছুতেই একটা রুচির পরিচয় রয়েছে। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তাঁর যে জনপ্রিয়তা, সেটা গোটা বাংলাদেশের মানুষের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। অনেকেই এসে হারিয়ে গেছেন, কিন্তু আমি বলব, বিশ্বজিৎ তাঁর অবস্থান থেকে আরও সামনে এগিয়ে গেছেন। তাঁর সঙ্গে একই অনুষ্ঠানে গান করছি—আমার খুব ভালো লাগছে।’