আপনার সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিল ‘ল্যাকমে ফ্যাশন উইক’-এ। তখন বলেছিলেন, জুড়ওয়া নিয়ে পরে কথা হবে।
ও হ্যাঁ, নিশ্চয়।
ডেভিড ধাওয়ানের পরিচালনায় আগে ‘চশমে বদ্দুর’ ছবিতে অভিনয় করেছেন। এবার ‘জুড়ওয়া ২’তে। কী রকম লাগছে?
ডেভিড স্যারের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা সব সময় দারুণ। মনে হয়েছিল, আগের ছবির ধারাবাহিকতা চলছে। একটা সেট থেকে অন্য সেটে এসেছি। আর সহ-অভিনেতারা শুধু বদলে গেছেন।
আপনাকে ‘পাওয়ার গার্ল’ হিসেবে বেশি দেখা যায়। আজ কমেডি ছবিতে। এই ঘরানা কতটা উপভোগ করছেন?
এই ছবিটা দেখার পর লোকে মনে হয় আমার সৌন্দর্যের প্রশংসা করবেন (সশব্দে হেসে)। আমাকে অনেকে সামনাসামনি দেখে বলেছেন, ‘বাহ, আপনি তো বেশ সুন্দর দেখতে। পর্দায় আপনাকে অন্য রকম লাগে।’ জুড়ওয়া ২ দেখার পর এ ব্যাপারে আর মানুষের কোনো সংশয় থাকবে না বলেই মনে হয়। ‘জুড়ওয়া’ ছবিতে আমি ‘পিংক’ থেকে ‘রেড’ হয়ে উঠেছি। আরও রঙিন হয়েছি বলা যায়।
প্রথম ‘জুড়ওয়া’ কি এখনো স্মৃতিতে আছে?
নিশ্চয়। তখন আমার বয়স বরুণের মতোই হবে। আমিও স্কুলেই পড়ি। কতবার যে সিনেমাটা দেখেছিলাম! জুড়ওয়ার সবচেয়ে হিট গান দুটো শুনে শুনে প্রতিটা অক্ষর মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। আজও ভুলিনি একটা অক্ষর এবং সুরও। এখানে আসার আগে সারা রাস্তায় গান দুটি গাইছিলাম। টন টনা টন টন টন তারা...হা হা হা।
সালমানের ‘জুড়ওয়ার’ সাফল্যের চাপ কি অনুভব করছেন?
না, সে রকম কোনো চাপ নেই। তবে চাপে রেখেছিলেন ডেভিড স্যার। শুটের আগে যখনই দেখা হতো বলতেন, জুড়ওয়ার বিখ্যাত গান দুটির ভিডিও বারবার দেখতে। আমাকে আর জ্যাকুলিনকে বারবার শট দিতে বলতেন। সত্যি আমরা খুব মজা করে কাজ করেছি। পর্দার বাইরেও আমরা ভরপুর বিনোদন করেছি।