এক মায়ের লড়াই
প্রায় একই সময়ে একই প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে মাকে নিয়ে দুটি ছবি—‘দ্য মাদার’ ও ‘মাদারস ডে’। ‘দ্য মাদার’-এ আছেন জেনিফার লোপেজের মতো বড় তারকা, ফলে প্রচারও হয়েছে বেশি। ঘণ্টার হিসাবে হলিউডের ছবিটি অনেক এগিয়ে থাকলেও হলিউডের বাইরের অ্যাকশন, থ্রিলারের যাঁরা ভক্ত, তাঁদের মনজয় করেছে ‘মাদারস ডে’। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত নেটফ্লিক্সের অ-ইংরেজিভাষী সিনেমার তালিকার শীর্ষে ছিল এই পোলিশ সিনেমা। খবর স্ক্রিন র্যান্টের
‘মাদারস ডে’ অ্যাকশন, থ্রিলার, ড্রামা ঘরানার সিনেমা। গল্পটি এক মায়ের, যিনি কিনা সাবেক এক স্পেশাল এজেন্ট। ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়, যখন কুখ্যাত এক গ্যাংস্টার দল ওই সাবেক এজেন্টের ছেলেকে অপহরণ করে। ছেলেকে রক্ষা করতে নিজের সব দক্ষতা কাজে লাগান মা।
এ ধরনের প্লট নিয়ে সারা দুনিয়ায় অনেক সিনেমাই হয়েছে। অনেকের মনে পড়তে পারে লিয়াম নিসন অভিনীত টেকেন ফ্র্যাঞ্চাইজির কথা। কিছুদিন আগে নেটফ্লিক্সেই মুক্তি পাওয়া ‘কিল বকসুন’-এর সঙ্গে কিছুটা মিল আছে। তবে ‘মাদারস ডে’ কেন ব্যতিক্রম?
সমালোচকেরা বলছেন, মূলত দুর্ধর্ষ অ্যাকশন দৃশ্যগুলোর কারণেই দর্শক ছবিটি পছন্দ করেছেন। হ্যান্ড টু হ্যান্ড লড়াই, অ্যাকশন কোরিওগ্রাফিতে নতুনত্ব ওটিটির দর্শকের কাছে ছবিটির দারুণ আবেদন তৈরি করেছে। অ্যাকশনের পাশাপাশি ডার্ক হিউমার ছবিটিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।
ছবির প্রধান চরিত্র অ্যাগসিয়েসকা গ্রোচোওসকার পারফরম্যান্সের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক-সমালোচক। ৪৩ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন সন্তানকে ফিরে পেতে মরিয়া
এক মায়ের চরিত্রে। আগে রোমান্টিক, ড্রামা ঘরানার সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হলেও এবার অ্যাকশন সিনেমাতেও নিজের জাত চিনিয়েছেন জনপ্রিয় এই পোলিশ অভিনেত্রী। কেবল অ্যাকশন দৃশ্য নয়, আবেগের দৃশ্যগুলোতেও তিনি দুর্দান্ত।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও ছবির শেষটা দেখে অনেক দর্শক, সমালোচক মনে করছেন, ‘মাদারস ডে’র সিকুয়েল আসবে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মাতেউজ রাকোউইজ।