২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

চোখ বুলিয়ে নিন অস্কারের রেকর্ডের খাতায়

অস্কারের সোনালি ট্রফিছবি: এএফপি
রাত পোহালেই বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে জমকালো আসর একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। সেরা সিনেমা, সেরা নির্মাতা, সেরা অভিনেতা কিংবা সেরা অভিনেত্রী—এবারের ৯৫তম আসরে কোন শাখায় কে পুরস্কার পাবেন, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এর মধ্যেই অস্কারের রেকর্ডের খাতায় একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
টাইটানিক সিনেমার দৃশ্য

সবচেয়ে বেশি পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমা


১৯২৯ সালে অস্কার পুরস্কার প্রবর্তনের ৩ দশক পর ১৯৫৯ সালে সর্বোচ্চ ১১ শাখায় পুরস্কার পেয়ে ইতিহাসে নাম তুলেছিল যুক্তরাষ্ট্রের সিনেমা ‘বেন-হার’। সিনেমাটি ১২টি শাখায় মনোনয়ন পেয়েছিল। এর চার দশক পর সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে ১৯৯৭ সালে নির্মাতা জেমস ক্যামেরনের আলোচিত সিনেমা ‘টাইটানিক’; সিনেমাটি ১৪টি শাখায় মনোনয়ন পেয়েছিল। সিনেমায় জ্যাক চরিত্রে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ও রোজ চরিত্রে কেট উইন্সলেট অভিনয় করে আলোচিত হয়েছেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সিনেমাটি বেশ জনপ্রিয়। ২০০৩ সালে ৭৫তম অস্কারে তৃতীয় কোনো সিনেমা হিসেবে ১১টি পুরস্কার বাগিয়েছে ‘দ্য লর্ড অব দ্য রিংস: রিটার্ন অব দ্য কিং’। এরপর গত দুই দশকেও কোনো সিনেমা এই রেকর্ডে ভাগ বসাতে পারেনি।

অভিনয়ে সেরাদের সেরা


অভিনয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি অস্কার পেয়েছেন ক্যাথরিন হেপবার্ন; প্রয়াত এ হলিউড অভিনেত্রী ছয় দশকের ক্যারিয়ারে চারবার সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘মর্নিং গ্লোরি’ (১৯৩৩), ‘গেস হু কামিং টু ডিনার’ (১৯৬৭), ‘দ্য লায়ন ইন উইন্টার’ (১৯৬৮), ‘অন গোল্ডেন পন্ড’ (১৯৮১)। হেপবার্নের পর সেরা অভিনেতা হিসেবে তিনটি পুরস্কার পেয়েছেন ড্যানিয়েল ডে–লুইস, অভিনেতা হিসেবে সর্বোচ্চ। ১৯৮৯ সালে ‘মাই লেফট ফুট’, ২০০৮ সালে ‘দেয়ার উইল বি ব্লাড’ ও ২০১৩ সালে ‘লিংকন’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন লুইস।
অ্যানিমেশনের জগতে ওয়াল্ট ডিজনি হলেন বটবৃক্ষ। সবচেয়ে বেশি অস্কার ট্রফিও জিতেছেন তিনিই। মোট ২২টি ট্রফি জিতেছিলেন ডিজনি। তিনি ৫৯ বার মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ১৯৩২ সালে অস্কারের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো অ্যানিমেশন হিসেবে তাঁর ‘ফ্লাওয়ারস অ্যান্ড ট্রি’ পুরস্কার পেয়েছে।

সেরা পরিচালক


অস্কারের ইতিহাসে পরিচালক হিসেবে মোট ৪টি ট্রফি জিতেছেন ফোর্ড। ১৯৩৫ সালে ‘দ্য ইনফরমার’, ১৯৪০ সালে ‘দ্য গ্রেপস অব র‍্যাথ’, ১৯৪১ সালে ‘হাউ গ্রিন ওয়াজ মাই ভ্যালি’ ও ১৯৫২ সালে রোমান্টিক-কমেডি ছবি ‘দ্য কোয়ায়েট ম্যান’ পরিচালনা করে অস্কার পেয়েছিলেন জন ফোর্ড। এ ছাড়া ‘হাউ গ্রিন ওয়াজ মাই ভ্যালি’ ছবির জন্য বেস্ট মোশন পিকচার বিভাগের ট্রফিও গিয়েছিল ফোর্ডের ঘরে।

ওয়াল্ট ডিজনি

সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন


ব্যক্তি হিসেবে অস্কারের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫৯ বার মনোনয়ন পেয়েছেন ডিজনির প্রতিষ্ঠাতা ওয়াল্ট ডিজনি। এরপর ২১ বার মনোনয়ন পেয়েছেন কিংবদন্তি হলিউড অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপ। এর মধ্যে সেরা অভিনেত্রী, পার্শ্ব অভিনেত্রীসহ মোট ৩টি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
সিনেমা হিসেবে আলফনসো কুয়ারনের ছবি ‘রোমা’ ১০টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিল। এতেই চোখ কপালে উঠেছিল অনেকের। কিন্তু এমন ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। অস্কারের ইতিহাসে একটি ছবির সবচেয়ে বেশি ১৪টি বিভাগে মনোনয়নের রেকর্ড গড়েছিল। ১৯৫০ সালে ‘অল অ্যাবাউট ইভ’, ১৯৯৭ সালে জেমস ক্যামেরনের ‘টাইটানিক’ ও ২০১৭ সালে ডেমিয়েন শ্যাজেলের ছবি ‘লা লা ল্যান্ড’ রেকর্ড ১৪টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিল।

১১-তে ১১


১১টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে সব কটিতেই অস্কার জেতার একমাত্র ঘটনাটি ঘটিয়েছে ২০০৩ সালের ছবি ‘দ্য লর্ড অব দ্য রিংস: রিটার্ন অব দ্য কিং’। পিটার জ্যাকসনের এই ছবি যেমন বক্স অফিস কাঁপিয়েছিল, তেমনি অস্কার মঞ্চকে করে তুলেছিল পানসে! এক ছবিই যদি সব পুরস্কার নিয়ে যায়, তবে অনুষ্ঠান পানসে না হয়ে আর কী হবে বলুন? সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, সেরা গানসহ প্রধান সব বিভাগেই ট্রফি জিতে নিয়েছিল ‘দ্য লর্ড অব দ্য রিংস: রিটার্ন অব দ্য কিং’।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন