আলোচিত এই ৭ পাকিস্তানি সিরিজ দেখেছেন কি

ভারতীয় ও বিদেশি অন্য ভাষার সিরিজ নিয়মিত দেখেন অনেক দর্শক। গত কয়েক বছরে কে-ড্রামা, থাই, টার্কিশ বা ফিলিপিনো সিরিজের জনপ্রিয়তাও বেড়েছে। তবে অনেক দর্শকের পছন্দ আবার পাকিস্তানি সিরিজ। গত কয়েক বছরে জনপ্রিয়তা পেয়েছে দেশটির কয়েকটি সিরিজ। এগুলো জনপ্রিয়তার পর অনেক দর্শক পুরোনো পাকিস্তানি সিরিজও খুঁজে দেখেছেন। মূলত রোমান্টিক, পারিবারিক ও ড্রামা ঘরানার সিরিজগুলো জনপ্রিয় হয়েছে। জিও নিউজ অবলম্বনে জেনে নেওয়া যাক জনপ্রিয় সাতটি পাকিস্তানি সিরিজের খবর।

গত কয়েক বছরে জনপ্রিয়তা পেয়েছে দেশটির কয়েকটি সিরিজ। কোলাজ

‘হামসাফার’
২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া সিরিয়ালটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। বিভিন্ন দেশে এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল যে ওই সময়কে বলা হতো পাকিস্তানের টিভি চ্যানেলের স্বর্ণসময়। গল্পে দেখা যায়, পারিবারিক কারণে বাধ্য হয়ে বিয়ে করতে হয় আজহার ও খাইরাদকে। প্রথম দিকে মানিয়ে নিতে পারছিল না দুজনেই। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ভালোবাসা তৈরি হয়। প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফাওয়াদ খান ও মাহিরা খান।

‘ভেরি ফিল্মি’
পবিত্র রমজান উপলক্ষে হাম টিভিতে মুক্তি পায় সিরিজটি। হাম টিভিতে প্রচারের পর জনপ্রিয়তা পায় আলী হাসানের সিরিজটি। এতে অভিনয় করেন দানানির মবিন, আমির জিলানি, বুশরা আনসারি, মিরা শেঠি প্রমুখ।

‘কাভি ম্যায় কাভি তুম’–এর দৃশ্য । আইএমডিবি

‘বারজাখ’
চলতি বছরের আরেকটি জনপ্রিয় সিরিয়াল। ফ্যান্টাসি ড্রামা ঘরানার এ সিরিজের লেখক ও নির্মাতা আসিম আব্বাসি। ফাওয়াদ খান ও সোনম সাঈদ অভিনীত সিরিজটির ছয় পর্ব গত ১৯ জুলাই প্রিমিয়ার হয়। এটি পাকিস্তানের জিন্দেগি চ্যানেলের সঙ্গে ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি-ফাইভেও মুক্তি পায়। ২০১৩ সালে তুমুল জনপ্রিয় সিরিজ ‘জিন্দেগি গুলজার হ্যায়’-এ অভিনয় করেছিলেন ফাওয়াদ ও সোনম। এই সিরিজে আবার দেখা গেছে তাঁদের।

‘কাভি ম্যায় কাভি তুম’
পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিয়ালের একটি ‘কাভি ম্যায় কাভি তুম’। এআরওয়াই ডিজিটাল চ্যানেলে ৩৪ পর্বের এ ধারাবাহিকের প্রচার শুরু হয় গত জুলাই মাসে, শেষ হয়েছে নভেম্বরের শুরুর দিকে। এটি দর্শকদের এতটাই পছন্দ হয়েছে যে এর শেষ পর্ব সিনেমা হলে প্রচারের সিদ্ধান্ত নেন নির্মাতারা।

‘বারজাখ’–এর দৃশ্য। আইএমডিবি

করাচি, লাহোর, ইসলামাবাদ, ফয়সালাবাদসহ বিভিন্ন শহরের প্রেক্ষাগৃহগুলোয় আগেভাগেই শেষ হয়ে যায় শোর টিকিট। রোমান্টিক গল্পের সিরিয়ালটি আইএমডিবিতে ৯.১ রেটিং পেয়েছে, যা যেকোনো পাকিস্তানি কনটেন্টের ক্ষেত্রে রেকর্ড। প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফাহাদ মুস্তাফা ও হানিয়া আমির।

‘পারিজাদ’
২০২১ সালের জুলাই থেকে পরের বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাম টিভিতে প্রচারিত হয়েছিল ‘পারিজাদ’।

‘পারিজাদ’–এর দৃশ্য। আইএমডিবি

দর্শকেরা মুগ্ধ হয়েছিলেন সহজ–সরল পরিশ্রমী যুবক পারিজাদের গল্পে। কীভাবে সে বারবার পরাজিত হয়েও, বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েও, নিজের পথে আস্থায় অবিচল থাকে; সেই গল্প উঠে এসেছে এতে। পারিজাদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আহমেদ আলী আকবর।

‘আলিফ’
নতুন অভিনেত্রী মোমেনা ও সফল চিত্রপরিচালক মোমিনের নিজেদের জার্নি, ক্যারিয়ার, পরিবার ও ধর্মীয় বিশ্বাসের গল্প উঠে এসেছে এই সিরিয়ালে। ২০১৯ সালের অক্টোবরে জিও টিভিতে এসেছিল ‘আলিফ’।

‘আলিফ’–এর পোস্টার। আইএমডিবি

অল্পদিনেই পায় দর্শকদের প্রশংসা। জীবনের রসদ খুঁজে পাওয়া বা বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা জোগায় সিরিয়ালটি। অভিনয় করেছেন পেহলাজ হাসান, হামজা আলী আব্বাসি, সজল আলী প্রমুখ।

আরও পড়ুন

‘সুনো চান্দা’
২০১৮ সালে হাম টিভিতে প্রচারিত হয় ৩০ পর্বের সিরিয়াল ‘সুনো চান্দা’। পরের বছর আসে সুনো চান্দার দ্বিতীয় মৌসুম। বিয়ে ঠেকাতে পরস্পরের বিরুদ্ধে দুই তরুণের ষড়যন্ত্র নিয়ে এগিয়েছে সিরিজটির গল্প। প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইকরা আজিজ ও ফারহান সাঈদ।