খুনি ও মা: এক চরিত্রে দুই রূপ
জিল বকসুন ভাড়াটে খুনি। পেশাগত জীবনের বাইরে তার আরেকটা পরিচয় রয়েছে, সে একজন একক (সিঙ্গেল) মা। খুনি ও মা—এই দুই বিপরীত পরিচয়ের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমা ‘কিল বকসুন’। গত ৩১ মার্চ মুক্তির পর মাত্র ৩ দিনে নেটফ্লিক্সের অ–ইংরেজিভাষী সিনেমার তালিকার শীর্ষে উঠে গেছে অ্যাকশন ছবিটি।
‘জিল বকসুন’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জেয়ন ডু ইয়োন। ২০০৭ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলেন দক্ষিণ কোরীয় এই অভিনেত্রী। দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেয়ন ডু ইয়োন জানান, অ্যাকশন দৃশ্যগুলো নিখুঁতভাবে তুলে আনতে চার মাস ধরে তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীলন করতে হয়েছে।
ধুন্ধুমার অ্যাকশনের বাইরে পর্দায় মায়ের দায়িত্বও সামলাতে দেখা গেছে ইয়োনকে। ব্যক্তিগত জীবনেও এক সন্তানের মা জেয়ন ডু ইয়োন। জিল বকসুনের সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পান বলে জানান ৫০ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী, ‘আমি যখন কর্মক্ষেত্রে থাকি, সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করি; আবার বাসায় ফিরে মা হিসেবেও নিজের সেরাটা দিই। আমার মনে হয়, বকসুনের সঙ্গে আমার মিল রয়েছে।’ জানুয়ারিতে নেটফ্লিক্সে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ক্রাশ কোর্স ইন রোমান্স’ সিরিজে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছেন, তিন মাসের ব্যবধানে আবারও শিরোনামে এলেন জেয়ন ডু ইয়োন।
‘কিল বকসুন’ নির্মাণ করেছেন বায়েন সান হোয়ান। এর আগে তিনি ‘দ্য মারকিলিস: দ্য ওয়ার্ল্ড অব ব্যাড গাই’ ও ‘দ্য কিংমেকার’ নির্মাণ করেছেন। ক্রাইম, অ্যাকশনধর্মী ‘কিল বকসুন’–এ আরও অভিনয় করেছেন কিম সি-আ, সল কিয়ান-জু প্রমুখ।
তিন দশকের ক্যারিয়ারে ২০টির মতো সিনেমা, ২২টির মতো সিরিজে অভিনয় করেছেন জেয়ন ডু ইয়োন। ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সিক্রেট সানশাইন’ সিনেমায় অভিনয় করে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান তিনি। এতে অনবদ্য অভিনয় করে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম অভিনেত্রী হিসেবে কানে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।