আগামীকাল ‘দামাল’
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল’-এর নাম। একাত্তরে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ফুটবল ম্যাচ খেলে মুক্তিযুদ্ধের জন্য তহবিল সংগ্রহ করত দলটি। মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের বিভিন্ন ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয় রায়হান রাফির সিনেমা ‘দামাল’। গত বছরের ২৮ অক্টোবর দেশে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সিনেমা হলের পাশাপাশি দেশের বাইরেও প্রদর্শিত হয়েছে এ ছবি। এবার উৎসব মাতাবে রায়হান রাফির ‘দামাল’। বুধবার ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পঞ্চম সন্ধ্যায় দর্শকেরা দেখতে পারবেন গত বছরের আলোচিত ছবিটি।
জানা গেছে, বাংলাদেশ প্যানারোমায় এদিন সন্ধ্যা সাতটায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে দর্শকেরা সিনেমাটি দেখতে পারবেন। ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প অবলম্বনে সিনেমাটি দেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত তারকাবহুল এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ, শরীফুল রাজ, বিদ্যা সিনহা মিম, শাহনাজ সুমি, সুমিত, রাশেদ অপু, ইন্তেখাব দিনার, পূজা, সামিয়া অথৈ প্রমুখ। পরিচালনার পাশাপাশি নাজিম উদ দৌলার সঙ্গে যৌথভাবে চিত্রনাট্যও লিখেছেন রাফি। ২০২০ সালে করোনার মধ্যে ছবিটির শুটিং শুরু হয়। ফ্রেমে একাত্তরের আবহ তুলে আনতে সৈয়দপুরে ছবির দৃশ্যধারণ করা হয়।
‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ স্লোগান নিয়ে শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত। এবারের উৎসবে উদ্বোধনী ছবি ছিল বাংলাদেশের নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খানের ‘জেকে ১৯৭১’।
৯ দিনের এ উৎসবে এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, শিশুতোষ চলচ্চিত্র, স্পিরিচুয়াল, ওমেন ফিল্মমেকারস, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র বিভাগে ৭১টি দেশের ২৫২টি সিনেমা প্রদর্শিত হবে। প্রতিদিন ৫টি ভেন্যুতে দেখানো হবে ১২৯টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ১২৩টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র। এর মধ্যে ৮১টি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র।
এবারের উৎসবে বাংলাদেশ প্যানারোমায় ‘দামাল’ ছাড়াও স্থান করে নিয়েছে ‘হাওয়া’, ‘বিউটি সার্কাস’, ‘পাপপুণ্য’, ‘সাঁতাও’, ‘দেশান্তর’সহ মোট ৯টি ফিচার ফিল্ম। ‘ওয়াইড অ্যাঙ্গেল’ বিভাগে ১১টি সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘ওরা ৭ জন’ ও প্রামাণ্যচিত্র ‘দুর্বার গতি পদ্মা’। ভেনিস, বার্লিন, টোকিও, মস্কো, সাংহাই, বুসানসহ একাধিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেওয়া বিদেশি ভাষার সিনেমাগুলো এই আয়োজনের মূল আকর্ষণ।
উৎসবের প্রধান শাখাগুলোর মধ্যে একটি এশিয়ান কমপিটিশন শাখা; এতে দেখানো হবে ২৩টি সিনেমা। এ ছাড়া ওয়াইল্ড অ্যাঙ্গেল শাখায় ১১টি, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড শাখায় ৪৫, বাংলাদেশ প্যানারোমা শাখায় ২৯, উইমেন ফিল্মমেকার শাখায় ২৩, স্পিরিচুয়াল ফিল্ম শাখায় ১৪ ও চিলড্রেন ফিল্ম শাখায় ১৮টি সিনেমা দেখানো হবে। শর্ট ও ইন্ডিপেনডেন্ট শাখায় ৮৪টি পূর্ণ ও স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি দেখানো হবে। রেট্রোস্পেকটিভ শাখায় ফ্রান্সের বিখ্যাত পরিচালক ফ্রঁসোয়া ত্রুফোর ‘দ্য ফোর হান্ড্রেড ব্লোজ’সহ চারটি সিনেমা দেখানো হবে।