২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

'সম্পূর্ণ শুটিংটা আমাদের বাসাতেই হয়েছে'

সম্প্রতি ‘কোয়ারেন্টিন টু’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের শুটিং শেষ হয়েছে শিল্পী দম্পতি শাহেদ আলী-দীপা খন্দকারের ধানমন্ডির বাসায়। ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি ‘কোয়ারেন্টিন টু’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের শুটিং শেষ হয়েছে শিল্পী দম্পতি শাহেদ আলী-দীপা খন্দকারের ধানমন্ডির বাসায়। ছবি: সংগৃহীত

হোয়াটসঅ্যাপে একটা মেসেজ আসে, ‘সম্পূর্ণ শুটিংটা আমাদের বাসাতেই হয়েছে।’ পাঠিয়েছেন অভিনেতা শাহেদ আলী। করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন তিনি। স্বজন হারিয়েছেন, কোয়ারেন্টিনে থেকেছেন। জীবিকার তাগিদে কাজেও ফিরেছেন। জীবন থেমে থাকে না, থাকেনি। তাঁর বাসাও এখন শুটিংস্পট।

শুরুর দিকে যে ভীতি করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল, তা সংক্রমণ ছড়ানোর চেয়ে ভয়াবহ, হৃদয়বিদারক। করোনায় আক্রান্ত মাকে পথে ফেলে গেছে সন্তান, এ রকম খবরও দেখতে হয়েছিল। সে সময় করোনায় আক্রান্ত মামার পাশে ছিলেন শাহেদ আলী। মারা যাওয়ার পর স্বেচ্ছাসেবীদের হাতে মরদেহ তুলে না দিয়ে তখনো পাশে ছিলেন। সম্প্রতি ‘কোয়ারেন্টিন টু’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের শুটিং শেষ করেছেন। ধানমন্ডিতে নিজের বাসায় সপরিবারে অভিনয় করেছেন তাঁরা।

করোনায় প্রথম ঈদে বাড়তি দায়িত্ব নিয়েছিলেন অভিনয়শিল্পী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। ঘর থেকে মোবাইল ফোনে শুটিং করে পরিচালকের কাছে পাঠিয়েছিলেন। অনেক নাটক ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মতো ‘কোয়ারেন্টিন’-এর ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছিল। পরিস্থিতি একটু বদলেছে পরের ঈদে। ঘরবন্দী সময়ের গল্প নিয়ে ‘কোয়ারেন্টিন টু’র শুটিংয়ে শিল্পীর বাসায় চিত্রগ্রাহক নিয়ে হাজির হয়েছেন পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম। শিশুদের কথা ভেবে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন তাঁরা।

‘কোয়ারেন্টিন টু’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে শাহেদ আলী-দীপা খন্দকার। ছবি: সংগৃহীত
‘কোয়ারেন্টিন টু’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে শাহেদ আলী-দীপা খন্দকার। ছবি: সংগৃহীত

করোনায় অভিনয়জগতে পরিবর্তন এসেছে। কিছু পরিবর্তন ইতিবাচক, কিছু নেতিবাচক। অনেক অভিনয়শিল্পীই চিত্রগ্রাহকের কাজ শিখে ফেললেন। ঘর থেকে শুটিং করে পরিচালকের কাছে ফুটেজ পাঠিয়েছেন। শিল্পী দম্পতি শাহেদ আলী-দীপা খন্দকার ও তাঁদের দুই ছেলেমেয়ে আদ্রিক সিফওয়াত আলী ও আরোহী সামারা আলী নাটক নির্মাণের টুকিটাকি শিখতে শুরু করেছেন। নেতিবাচক হয়েছে, মেকআপ সহকারীরা কাজ হারাচ্ছেন, লাইটগুলো ভাড়া হচ্ছে না, শুটিং ইউনিটগুলো ছোট হয়ে এসেছে!

ঘরের বাইরেও বের হয়েছেন শাহেদ আলী। পুবাইলসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন। অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে তিনি জানালেন, ‘শুটিংয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা খুব কঠিন কাজ। বিভিন্ন জায়গায় কাজের অভিজ্ঞতা হলো, শুরুতে সবাই সচেতন থাকে। পরে সেটা বজায় রাখতে পারে না।’ সন্তানেরা অভিনয়ে যুক্ত হয়েছে বলে আনন্দিত এই অভিনেতা। জানালেন, ষষ্ঠ শ্রেণির আদ্রিক ও কেজি ওয়ানের আরোহী বন্ধুবান্ধব, তাদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রশংসিত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজের জন্য ডাকও পাচ্ছে। নিরাপত্তার খাতিরে সব জায়গায় পাঠাননি এই অভিনেতা দম্পতি।

শিল্পী দম্পতি শাহেদ আলী-দীপা খন্দকার ও তাঁদের দুই ছেলেমেয়ে আদ্রিক সিফওয়াত আলী ও আরোহী সামারা আলী নাটক নির্মাণের টুকিটাকি শিখতে শুরু করেছেন। ছবি: সংগৃহীত
শিল্পী দম্পতি শাহেদ আলী-দীপা খন্দকার ও তাঁদের দুই ছেলেমেয়ে আদ্রিক সিফওয়াত আলী ও আরোহী সামারা আলী নাটক নির্মাণের টুকিটাকি শিখতে শুরু করেছেন। ছবি: সংগৃহীত

‘কোয়ারেন্টিন টু’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে একটি অতিথি চরিত্রে দেখা যাবে মিথিলাকে। শাহেদ আলী জানান, বহু বছর পর মিথিলার সঙ্গে পর্দায় দেখা যাবে তাঁকে। এ ছাড়া এই নাটকে দীপা খন্দকারের সঙ্গেও দীর্ঘদিন পর কাজ করলেন মিথিলা। একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে দেখা যাবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি। আর শাহেদ আলীকে দেখা যাবে বেশ কয়েকটি খণ্ড নাটক, ধারাবাহিক ও স্বল্পদৈর্ঘ্যে।