৭ দিনে কীভাবে বদলে গেলেন ভাবনা

ভাবনা দেখা পেলেন নাট্য নির্দেশক সৈয়দ জামিল আহমেদের

বেশ কয়েক দিন দিন হতাশা ঘিরে ধরেছিল আশনা হাবিব ভাবনাকে। কোনো কিছুই ভালো লাগছিল না। নিজেকে ফিরে পাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন। এমন সময় তিনি দেখা পেলেন নাট্য নির্দেশক সৈয়দ জামিল আহমেদের। তাঁর পাঠশালায় ৭ দিনের কর্মশালায় অংশ নিলেন তিনি। এই ৭ দিন এখন পর্যন্ত ভাবনার জীবনের সেরা সময়। এই সময়ে তিনি আবার নিজেকে ফিরে পেয়েছেন। পেয়েছেন শক্তি ও অনুপ্রেরণা।

ভাবনা
ইনস্টাগ্রাম

মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন ভাবনা। এ অভিনেত্রী নিজেকে নতুন করে ফিরে পাওয়া নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, তিনি খুবই হতাশ ও বিষণ্ন ছিলেন। প্রতি রাতে অভিনয়ের জন্য কান্নাকাটি করতেন, কাজ এবং চারপাশের নানা কিছুও তাঁকে ভাবাত। ভাবনা বললেন, ‘সবাই সবাইকে টক্কর দেওয়ার চেষ্টায় আছে। সবাই সবাইকে ছোট করার চেষ্টা করছে। অস্বস্তিতে ফেলারও চেষ্টা করছে। একধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে সবার মধ্যে। কিন্তু আমার চেষ্টা ভালো অভিনয় করা। প্রতিনিয়ত নিজেকে একজন ভালো অভিনয়শিল্পী হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা। কিন্তু আমি ভীষণ মর্মাহত ছিলাম।’

বাংলাদেশ টেলিভিশনে এখন প্রচারিত হচ্ছে ভাবনা অভিনীত ধারাবাহিক নাটক ‘এখানে কেউ থাকে না’। নতুন লটের শুটিং হবে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে। অন্য চ্যানেলেও প্রচারিত হচ্ছে তাঁর একাধিক ধারাবাহিক নাটক।

আশনা হাবিব ভাবনা
ছবি: ফেসবুক থেকে

এর মধ্যেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানালেন, প্রতি রাতে তিনি কাঁদতেন। কিন্তু হঠাৎ কী এমন হলো যে ভাবনাকে কাঁদতে হয়েছে? কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন? ভাবনা জানালেন, হতাশা কাটিয়ে তিনি আবার নিজেকে ফিরে পেয়েছেন। মাত্র সাত দিনের অভিনয় কর্মশালা তাঁকে নতুন জীবন দিয়েছে। দূর করেছে সব হতাশা ও বিষণ্নতা।

ভাবনা বললেন, ‘সম্ভব হয়েছে নাট‌্যনির্দেশক সৈয়দ জামিল আহমেদের কারণে। আমি অভিনয় প্রচণ্ড ভালোবাসি। প্রতিদিনই চেষ্টা করি ভালো অভিনেত্রী হওয়ার। কিন্তু আমি খুব মনমরা ছিলাম এবং প্রথমবার উপলব্ধি করলাম আমার কোনো শক্তি নেই। তারপর সৈয়দ জামিল আহমেদের অভিনয়বিষয়ক কর্মশালায় নিজেকে যুক্ত করলাম। জীবনের অসাধারণ সাতটি দিন পার করেছি। এই সাত দিনে আমি নিজেকে ফিরে পেয়েছি। অনেক প্রাণশক্তি পেয়েছি। কাজের অনুপ্রেরণা এসেছে। এই কর্মশালা করতে গিয়ে উপলব্ধি হয়েছে, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অভিনয় করে যেতে চাই। আজ থেকে আমি আমার জীবন, কাজ নিয়ে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী, মনোযোগী।’

‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ সিনেমায় আশনা হাবিব ভাবনা
ছবি : সংগৃহীত

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ভাবনা বলেন, ‘আমি কখনো কোনো অভিনয় স্কুল, কর্মশালা, থিয়েটার ক্লাস থেকে কিছু শিখিনি। এই কর্মশালার পর গর্বের সঙ্গে বলছি, জামিল আহমেদ আমার গুরু। আমার প্রথম অভিনয়ের শিক্ষক। অসংখ‌্য ধন্যবাদ স‌্যার।’