হেঁটে একা একা লন্ডন শহর ঘুরে বেড়িয়েছেন ফারিণ
‘আরও এক পৃথিবী’ নামে কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করছেন বাংলাদেশের ছোট পর্দার তারকা তাসনিয়া ফারিণ। ১৯ মে থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরে শুটিং হয়েছে ছবিটির। ছবিটি পরিচালনা করছেন কলকাতার পরিচালক অতনু ঘোষ। ফারিণের সহশিল্পী আছেন কলকাতার কৌশিক গাঙ্গুলি, অনিন্দিতা ও সাহেব চ্যাটার্জি।
ছোট পর্দায় নিয়মিত নাটক, ওয়েব ফিল্ম, সিরিজে অভিনয় করলেও সিনেমায় অভিনয় এবারই প্রথম ফারিণের। আর সেটা শুরু হলো আন্তর্জাতিক অঙ্গন দিয়ে। অনেক প্রস্তাব থাকলেও সিনেমায় কাজ করেননি ফারিণ। বলে আসছিলেন, করার মতো সিনেমা হলে অবশ্যই সিনেমা করতে চান তিনি।
এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্য থেকে ফারিণ বলেন, ‘অনেক প্রস্তাব ছিল, করিনি। তবে আমি সিনেমায় অভিনয় করব, এটি আগেও বলেছি। অপেক্ষায় ছিলাম, ভালো কিছু দিয়ে শুরু করতে। সেটি করলাম। অতনু ঘোষের মতো একজন ভালো মাপের পরিচালকের সঙ্গে কাজ হচ্ছে। ছবির গল্পও সুন্দর।’
কীভাবে যুক্ত হলেন সিনেমাটির সঙ্গে?—জানতে চাইলে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘গত মার্চ মাসে পরিচালকের সঙ্গে কথা হয় আমার। এরপর গল্প, আর আমার চরিত্র এবং শুটিংয়ের আয়োজন শুনে ভালো লেগে যায়। কাজটি করতে রাজি হই। সব মিলে ব্যাটে–বলে মিলে গেল।’
সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতার ব্যাপারে ঢাকার এই নাটকের তারকা বলেন, ‘সিনেমায় যে শুটিং করছি, এটা আলাদা করে ভাবছি না। আমার কাছে মনে হচ্ছে এই ভাবনা ভাবতে গেলে ভালোভাবে যে কাজটি করছি, তা নষ্ট হয়ে যাবে। কাজ মানে কাজ, এই ভেবেই কাজ করছি।’
ফারিণ আরও বলেন, ‘নতুন জায়গা, নতুন টিম এবং নিজের চরিত্রটিও মজার। তবে কাজ করতে এসে মনেই হচ্ছে না যে আমি নতুন টিমের সঙ্গে কাজ করছি। এত সুন্দর পেশাদারভাবে কাজটি হচ্ছে। খুব উপভোগ করে কাজটি করছি আমি।’
জানা গেছে, লন্ডন শহর, পূর্ব লন্ডন, পশ্চিম লন্ডনের ইলিং, হিথরোসহ বিভিন্ন জায়গায় শুটিং হচ্ছে ছবিটির। টানা ১১ জুন পর্যন্ত শুটিং হয়ে ছবির কাজ শেষ হবে।
এদিকে টানা শুটিংয়ের মধ্যে ২৩ মে এক দিন শুটিং বন্ধ ছিল। ওই দিন দিন হেঁটে একা একা লন্ডন শহর ঘুরতে বের হয়েছিলেন ফারিণ। ব্রিটিশ মিউজিয়াম, অক্সফোর্ডসহ সুন্দর সুন্দর জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন তিনি। থিয়েটার হলে গিয়ে অপেরাও দেখেছেন।
বলেন, ‘প্রথম লন্ডনে এসেছি। শুটিংয়ের চাপে ঘোরার সময় নাই। একদিন ছুটি পেয়েছিলাম। পুরো দিন হেঁটে অনেক জায়গায় ঘুরেছি। আমার পা ব৵থা হয়ে গেছে।’
জানালেন সময় করে হার মাজেস্টিজ থিয়েটার হলে প্যানথম অব দ্য অপেরা শোও দেখতে গিয়েছিলেন। বলেন, ‘দুর্দান্ত শো দেখলাম। অপেরা দেখার পর মনে হয়েছে, আমরা কী করি আর তাঁরা কী করেন। এত সুন্দর! দেখতে বসে মনে হচ্ছিল লাইভ সিনেমা দেখছি।’
ঠিকঠাকমতো শুটিং শেষ হলে আগামী ১২ বা ১৩ জুন দেশে ফেরার কথা আছে ফারিণের।