‘হুমায়ূন স্যার, বাচ্চু ভাইদের কাছ থেকে সেই সাহসটা পেয়েছি’
নাটক লেখাকে অনেক কঠিন কাজ বলে মনে করতেন অভিনেতা ফারুক আহমেদ। যে কারণে দীর্ঘদিন ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নাটক লেখায় হাত দিতে সাহস পাননি। অনিয়মিত নাটক লিখলেও এখন আর নাটক লিখতে ভয় পান না। এই অভিনেতা বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ, বাচ্চু ভাইয়ের কাছ থেকে সেই সাহসটা পেয়েছি।’ তিনি জানান ধারাবাহিক নাটক দিয়ে নাট্যকার হিসেবে নিয়মিত হচ্ছেন।
অভিনেতা হিসেবে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন ফারুক আহমেদ। তিনি মনে করেন, এটাই তাঁর আসল পরিচয়। তবে শখের বশে নাটক লিখবেন এই অভিনেতা। কোন কারণে নাটক লেখা শুরু করলেন, জানতে চাইলে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমি হুমায়ূন স্যার (হুমায়ূন আহমেদ), নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু ভাইয়ের মতো মানুষের সংস্পর্শে ছিলাম অনেক দিন। সেলিম আল দীন ভাইয়ের কাছ থেকে শিখেছি। আরও অনেক নাম আছে। মূলত তাঁদের কাছ থেকেই সেই সাহস পেয়েছি। আর সাহিত্য নিয়ে মোটামুটি ভালো পড়াশোনা আছে। বর্তমান নাট্যকারদের অনেকের চেয়ে ভালো লিখব, সেই সাহস আমার আছে। কারণ, অনেক চিত্রনাট্যে অভিনয় করতে গিয়ে অনেক নিম্নমানের লেখা পেয়েছি। এখনো পাই। এই জায়গায় নিজে লিখলে অভিনয়ে একটা স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা থাকে।’
হুমায়ূন আহমেদের নাটকে অভিনয় করেই ফারুক আহমেদ খ্যাতি পেয়েছেন। হুমায়ূন আহমেদ তাঁকে অনেক স্নেহ করতেন, যে কারণে হুমায়ূন আহমেদের বেশির ভাগ কাজেই তাঁর উপস্থিতি থাকত। ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমি যখন প্রথম দিকে নাটক লিখতাম, তখন হুমায়ূন আহমেদ স্যারের মতো সংলাপ ও নেত্রকোনা অঞ্চলের অনেক শব্দ লিখে ফেলতাম। ‘বিবাহ’, ‘আফসোস’—এমন বহু শব্দ মনে অজান্তে চলে আসত। লেখার ধরনেও হুমায়ূন আহমেদের থেকে অনেকটা নকল হতো। এটা হয়েছে মূলত দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করার কারণে। পরে চেষ্টা করেছি, নকল যেন না হয়, সেটা থেকে বের হতে।’
ফারুক আহমেদ চার বছর পর আবার নাট্যকার হয়ে দর্শকের সামনে এসেছেন। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর লেখা নাটক ‘বউবাজি’। সমসাময়িক জুয়া, পরকীয়ার মতো বিষয়কে উপজীব্য করে নাটকটি লেখা। পরিচালনা করেছেন জুয়েল রানা। তিনি সর্বশেষ লিখেছেন ‘বদরাগী বদরুল’ নাটকটি। এর আগে তাঁর লেখা ‘বিয়ের ঘণ্টা’, ‘দুই বাসিন্দা’, ‘ডিগবাজি’, ‘কালসাপের দংশন’, ‘উচ্চবংশের পাত্র চাই’সহ বেশ কিছু নাটক প্রচারিত হয়। ‘মেঘেদের সংসার’ ও ‘হাউ মাউ খাও’ নামে দুটি ধারাবাহিক নাটক লেখার কাজ চলছে।